বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘শিশুর শিক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করি, শিশুশ্রম বন্ধ করি’—এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
এই দিবস পালন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ইউনিসেফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ২০০২ সালে সর্বপ্রথম দিবসটি পালন করে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও)। শিশু শ্রমের কারণে শিশুদের দুর্দশার কথা তুলে ধরাই ছিল এর উদ্দেশ্য।
এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে সব ধরনের শিশুশ্রম থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২১-২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ’ কাজ করছে। সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের পুনর্বাসন এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর বিকাশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বিষয়ক আইএলও কনভেনশন অনুসমর্থন করেছে।
বিশ্বজুড়ে বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে। এ জাতীয় ঘটনা-দুর্ঘটনা শিশুদের কায়িক শ্রমের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পাশাপাশি শিশুশ্রমের কুফল সম্পর্কে অসচেতনতায় দিনদিন শিশুশ্রম বাড়ছে।