আজ পাশ হচ্ছে অর্থবিল, প্রত্যাহার হতে পারে ন্যূনতম ২ হাজার টাকা করের প্রস্তাব
আয়কর রিটার্ন দাখিলে ন্যূনতম ২ হাজার টাকা কর দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাহার হতে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে বল পয়েন্ট পেন বা কলম উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের প্রস্তাবও প্রত্যাহার হতে পারে।
আজ জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত অর্থবিল পাশ হবে। অর্থবিল পাশ হওয়ার সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ন্যূনতম করের প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে জানা গেছে। ঈদের ছুটির আগেই জাতীয় সংসদে ২৬ জুন বাজেট পাশ হবে। তার আগে আজ রবিবার ২৫ জুন পাশ হবে ২০২৩ সালের অর্থবিল। অর্থবিলে শুল্ক-করসংক্রান্ত পরিবর্তনগুলোর প্রস্তাব থাকে। ১ জুন জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় আয়কর রিটার্ন জমায় ন্যূনতম ২ হাজার টাকা আয়কর দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ।
এবার বাজেট ঘোষণার সময় রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা আছে এমন করদাতার জন্য করযোগ্য আয় না থাকলেও ন্যূনতম ২ হাজার টাকা কর দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। রিটার্ন জমার রসিদ দিয়ে সেবা নিতে হয়, এমন রিটার্ন পাওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম কর পরিশোধের কথা বলা হয়। বাজেট পেশের পর এই প্রস্তাবের ব্যাপারে সাধারণ করদাতার পাশাপাশি অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সমালোচনা করেন।
জানা গেছে, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে ইতিমধ্যে ন্যূনতম কর প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে সাধারণ করদাতাদের স্বস্তি দিতে এই কর প্রত্যাহার করা হতে পারে। অর্থমন্ত্রী কর আরোপের প্রস্তাব করে বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করেছিলেন, ‘রাষ্ট্রের এক জন নাগরিকের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্র কর্তৃক প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধার বিপরীতে সরকারকে ন্যূনতম কর প্রদান করে সরকারের জনসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ। এ ধরনের অংশীদারত্বমূলক অংশগ্রহণ দেশের সক্ষম জনসাধারণের মধ্যে সঞ্চারণের লক্ষ্যে করমুক্ত সীমার নিচে আয় রয়েছে, অথচ সরকার হতে সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্নের বাধ্যবাধকতা আছে, এমন করদাতাদের ন্যূনতম কর ২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি।’ অর্থমন্ত্রী এখন সেই অবস্থান থেকে সরে আসতে পারেন।