লাইফস্টাইল

রঙিন চুলে করণীয়-বর্জনীয়

হেয়ার কালার একটি জনপ্রিয় সৌন্দর্যচর্চা, যা বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে। এটি যে কাউকে করে তুলতে পারে আরও আত্মবিশ্বাসী ও ফ্যাশনেবল। তাজা, চকচকে এবং প্রাণবন্ত রাখতে প্রয়োজন সঠিক নিয়মে পরিচর্যা। চুলের রং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে চুল রং করার সময় করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে জেনে নিন। রইল তার বিস্তারিত-

যা করবেন

প্রথম ধোয়ায় সময় নিন : হাইলাইট, ডিপ-ডাই, ফুল কালার বা আন্ডার লাইট- যাই হোক না কেন, চুল রং করার পর প্রথম ধোয়ার জন্য অন্তত দুই দিন সময় নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ রং করার পরে চুলগুলো অনেক বেশি ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং সে ক্ষেত্রে ধোয়ার পরে চুলের রং অনেক দ্রুত হালকা হতে শুরু করে।

হেয়ার মাস্ক : রং করার আগে চুলের  বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। একটি ভালো হেয়ার মাস্ক চুলকে শক্তিশালী করে। ফলে চুল রংকে আরও ভালোভাবে শুষে নিতে পারে। মাস্ক ব্যবহারের সুফল- রং করার পরও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও কোমল চুল পাওয়া যায়।

সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষা : ত্বকের মতো রঙিন চুলও প্রখর রোদে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে রং দ্রুত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কসমোলজিস্ট এরিক লিওনার্দোস বলেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য সরাসরি সূর্যালোক এড়ানো উচিত এবং চুলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এসপিএফ পণ্য ব্যবহার করা উচিত। পাশাপাশি টুপি বা স্কার্ফ দিয়ে ঢেকে রাখুন।

কালার চুলের ড্রাই শ্যাম্পু : চুলের চকচকে ভাব ও মজবুত রাখতে ঠান্ডা পানি নিয়ে শ্যাম্পু করুন। রঙিন চুল বেশি না ধোয়াই ভালো এবং কালার উপযুক্ত ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।

যা করবেন না

এড়িয়ে চলুন গরম পানি : সেলিব্রিটি হেয়ার স্টাইলিস্ট মিশেল ক্লিভল্যান্ড বলেছেন, চুলে রং করার পরপর চুলে গরম পানি ব্যবহার করা অনুচিত। কেননা, চুল ধোয়ার জন্য গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের গোড়ার ছিদ্রগুলো খুলে গিয়ে চুলের প্রাকৃতিক তেল ও রং নষ্ট করতে পারে। কসমোলজিস্ট লিও ইজকুয়ের্দোও একই মত পোষণ করেছেন।

কন্ডিশনিং না করলে : রং করলে চুল শুষ্ক হয়ে যায়। তাই ময়েশ্চার লক করতে, রুক্ষতা রোধে ও ঝলমলে চুলের জন্য ডিপ কন্ডিশনিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ক্লোরিন পানি : চুলের রং রাসায়নিক দ্রবণ। তাই এটি ক্লোরিনের সংস্পর্শে গেলে বিক্রিয়া করে। এই ক্লোরিন বিভিন্ন উপায়ে পাওয়া যায়, যেমন- সুইমিং পুলের পানি। পুলের পানিতে নিয়মিত চুল ভেজালে চুলের ক্ষতি হতে পারে, চুল হয়ে ওঠে শুষ্ক ও বিবর্ণ।

তাপ সরঞ্জাম এড়িয়ে যান : চুলের রং ও স্টাইলিং পণ্যগুলো চুলকে শুষ্ক করে ফেলে। তাপ (হিট) দেওয়ার সরঞ্জাম যেমন- ব্লো ড্রায়ার ও স্ট্রেইটেনিং আয়রন এড়িয়ে চলুন। এ ছাড়া ভলিউমাইজার, মাউস, হেয়ার স্প্রে এবং এমনকি জেল ব্যবহার করা যাবে না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button