ভূমিকম্পে মরক্কোর এক গ্রামের অর্ধেক মানুষের প্রাণহানি
শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো। ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই হাজার ১২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় এখনও নিখোঁজ দুই হাজার চার শতাধিক।
এদিকে, ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে মরক্কোর আটলাস পর্বতমালার তাফেঘাগ নামের একটি গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানকার বাসিন্দারা এখন হয় হাসপাতালে চিকিৎসাধানী নয়তো মারা গেছে, সাংবাদিকদের এমনটা বলছিলেন ভুক্তভোগী হাসান।
তিনি বলেন, “আমরা যখন ধ্বংসস্তূপের ওপরে উঠছিলাম, তখন বুঝতে পেরেছিলাম এখান থেকে কেউ অক্ষত অবস্থায় বের হতে পারবে না।”
ভূমিকম্পের আঘাত এতটাই ভয়াবহ ছিল যে তাদের ঐতিহ্যবাহী বাড়ির ইট বা পাথর কোনোটিই অক্ষত নেই। ২০০ বাসিন্দার মধ্যে অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছে। আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে।
হাসান বলেন, “আক্রান্তদের পালানোর সুযোগ ছিল না। নিজেদের বাচাঁনোর সময় ছিল না।”
তিনি আরও জানান, তার চাচা এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তাকে বের করেও আনা সম্ভব হচ্ছে না।”
তাফেঘাগ গ্রামের কারো কাছে ধ্বংসস্তূপ থেকে মানুষকে উদ্ধার করার মতো সরঞ্জাম নেই। বাইরে থেকেও কোনো সহযোগিতা আসেনি।
হাসান জানান, মরক্কোর কর্তৃপক্ষের উচিত আন্তর্জাতিক সহায়তার সব প্রস্তাব গ্রহণ করা। এ বিষয়ে ভয় বা অহংকার কাটিয়ে উঠতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
ওই গ্রামের আরেক বাসিন্দা আবদুর রহমান ভূমিকম্পে স্ত্রী ও তিন ছেলেকে হারিয়েছেন। ভূমিকম্পের সময় পেট্রোল স্টেশনে কাজ করেছিলেন তিনি।
মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ১০০ ছাড়িয়েছে। গত শুক্রবার রাতে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাহ হানে দেশটিতে। এমন ভয়াবহতা গত ১০০ বছরেও দেখেনি দেশটির মানুষ। বিশেষজ্ঞরা এটিকে এ অঞ্চলের ১২০ বছরেরও মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প বলে আখ্যা দিচ্ছেন। সূত্র: বিবিসি