জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের দাবিতে বরিশালে জলবায়ু ধর্মঘট
ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারের দাবিতে বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট পালন করেছে বরিশালের তরুণ জলবায়ু কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার কীর্তনখোলা নদীর তীরের ত্রিশ গোডাউন এলাকায় ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ এবং জীবাশ্ম জ্বালানি বিশেষ করে এলএনজি আমদানির ওপর দেশের নির্ভরতা কমানোর দাবি জানান জলবায়ুকর্মীরা।
পাশাপাশি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতে রূপান্তর প্রক্রিয়া ন্যায্যতা ও মানবাধিকার বজায় রাখার দাবিও জানানো হয়।
কর্মসূচিতে নানা ধরণের দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে তরুণরা অংশ নেন।
সুইডেনের জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের গড়ে তোলা স্কুলশিক্ষার্থীদের পরিচালিত আন্দোলন ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ এর আহ্বানে বিশ্বব্যাপী এ জলবায়ু ধর্মঘট পালিত হচ্ছে।
এসময় বক্তব্য রাখেন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের অ্যাডভোকেসি এবং ক্যাম্পেইন বিষয়ক সমন্বয়কারী আরিফুর রহমান শুভ, বিভাগীয় সমন্বয়কারী আশিকুর রহমান নিরব, জেলা উপদেষ্টা আশিকুর রহমান সাকিব, জেলা সমন্বয়কারী সিয়াম সিকদার, সদস্য ময়ুরী আক্তার টুম্পা প্রমুখ।
তরুণ জলবায়ুকর্মীরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর প্রভাবের কারণে বিশ্ব এখন একটি সংকটপূর্ণ সময় পার করছে। উন্নত দেশগুলোকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মেনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। পাশাপাশি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবসায় বিনিয়োগ না করে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে এখনই উদ্যোগী হতে হবে। সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই ক্ষতিকারক জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে জলবায়ু বিধ্বংসী কার্যকলাপের জন্য দায় নিতে হবে। পাশাপাশি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে এসে অবিলম্বে উল্লেখযোগ্যভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির যুগ শেষ হয়ে গেছে।