নদী-খাল দখল করে নির্মিত স্থাপনা ভেঙে দেয়া হবে: চসিক মেয়র
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী-খাল দখল করে নির্মিত স্থাপনা ভেঙে দেয়া হবে।
আজ সোমবার নগরীর ষোলশহরের চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স চত্বরে আয়োজিত কর মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসণে সরকার প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। জনগণ সচেতন আচরণ না করলে কোন প্রকল্পই সফল হবে না। খাল-নালা দখল করার কারণে পানি প্রবাহের স্বাভাবিক পথ না থাকলে কেবল প্রকল্প করে জলাবদ্ধতা নিরসণ সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, নগরীতে জলাবদ্ধতা হলে লোকজন অস্থির হয়ে যান। আবার পানি নামলে জলাবদ্ধতার কষ্টের কথা ভুলে যান এবং খাল-নালা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন। পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করে যেসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে তা ভেঙে দেয়া হবে।
কর সহনীয় করতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে মেয়র বলেন, জনগণকে করের বোঝা থেকে মুক্তি দিতে প্রতিটি ট্যাক্স সার্কেলে গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছে। জনগণের বক্তব্য শুনে, যাচাই করে আপিল করা করদাতাদের গৃহকর সহনশীল পর্যায়ে আনা হয়েছে।
কর মেলার উদ্বোধন করে সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ বলেন, বর্তমান জলাবদ্ধতার জন্য সিডিএরও দোষ নাই, চসিকেরও দোষ নাই। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা মূলত প্রকৃতির প্রতিশোধ। আগে চট্টগ্রামে ৭০টি খাল ছিল। খোলা জমি-মাঠ ছিল। প্রায় সব বেদখল হয়ে গেছে। ২০০ ফুট চওড়া খাল দখল হতে হতে ২০ ফুটে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসণে যেসব রাস্তা কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত গেছে সেসব রাস্তার নিচে ভূ-গর্ভস্থ নালা করে দিতে হবে এবং নালার মুখে সিলট্র্যাপ ও গার্বেজ ট্র্যাপ করে দিতে হবে। কর্ণফুলীতে প্লাস্টিক-পলিথিনের এমন অবস্থা যে ড্রেজিং করা যাচ্ছে না।
অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে যে জলাবদ্ধতা সমস্যা তৈরি হয়েছে তা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী যে ৪টি প্রকল্প দিয়েছেন তা শেষ হলে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধান হবে। বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে চট্টগ্রাম আরো এগিয়ে যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কর আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সংবেদনশীল হতে হবে। কারণ এ রাজস্ব আয়ের ওপর নির্ভর করছে চট্টগ্রামের উন্নয়ন।
জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ কর মেলায় আরো উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর গাজী মোহাম্মদ শফিউল আজিম, শাহেদ ইকবাল বাবু, আবদুস সালাম মাসুম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামশুল তাবরিজ, কর কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।