স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩(বাসস) : ২০০৭ সালে রাজশাহীতে গৃহবধূ শারমিন আক্তার লিপি হত্যা মামলায় স্বামী রফিকুল ইসলামকে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদন্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন দন্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো.বশির উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়, সহকারী এটর্নি জেনারেল জাহিদ আহাম্মেদ হিরো। আসামি পক্ষে ছিলেন মোহাম্মদ শিশির মনির, মোহাম্মদ নওয়াব আলী ও জিএম মুজাহিদুর রহমান।
বাগমারার ভবানিগঞ্জে রফিকুল ইসলাম যৌতুকের দাবিতে তার স্ত্রী শারমিন আক্তার লিপির ওপর বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। ২০০৭ সালের ৭ আগস্ট রাতে নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়।
তবে ঘটনা ধামাচাপা দিতে শারমিন আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার করা হয়। কিন্তু পুলিশ বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে রফিকুলকে গ্রেফতার করে। পরে বাগমারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ বিচার শেষে রফিকুল ইসলামকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে সোমবার রায় দেন হাইকোর্ট।