গোপালগঞ্জে এবছর ২১টি পূজামন্ডপ বেড়েছে
৪ অক্টোবর,২০২৩ (বাসস): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ জেলা গোপালগঞ্জে এ বছর সনাতান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় পূজা উদযাপনে মন্ডপ বেড়েছে ২১টি ।
এ বছর জেলার ৫ টি উপজেলায় ১ হাজার ৩০১টি পূজামন্ডেপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর জেলায় ১ হাজার ২৮০টি পূজামন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল । এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ কারণে প্রতি বছরই পূজামন্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে পূজা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
পূজাকে কেন্দ্র করে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের নিয়ে জেলা পুলিশ ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সভা করেছে। এতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পূজামন্ডপ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানগেছে, গত বছর জেলায় ১ হাজার ২৮০টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল । এরমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৪০টি, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৩১৫ টি, মুকসুদপুর উপজেলায় ২৯৮টি, কাশিয়ানী উপজেলায় ২৩৩ টি ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৯৪টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এ বছর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৫১টি, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৩২৫টি, মুকসুদপুর উপজেলায় ২৯৯টি, কাশিয়ানী উপজেলায় ২৩২টি ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৯৪টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে জেলায় এ বছর ১ হাজার ৩০১টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর গোপালগঞ্জ সদরে ১১টি, কোটালীপাড়া উপজেলায় ১০টি ও মুকসুদপুর উপজেলায় ১টি পূজা মন্ডপ বেড়েছে। পক্ষান্তরে কাশিয়ানী উপজেলায় এ বছর ১টি পূজা মন্ডপ কমেছে।
গোপালগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আশ্রাফুল হক বলেন, এ বছর জেলায় ২১ টি পূজামন্ডপ বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার ১ হাজার ৩০১টি পূজা মন্ডপে ভক্তদের প্রসাদ বিতরণের নিমিত্তে চাল বরাদ্দের জন্য দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা অধিদপ্তরের কাছে মন্ডপের তালিকা পাঠানো হয়েছে। চাল বরাদ্দ পাওয়া মাত্র আমরা মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মারফত বিতরণ শুরু করব। শেষ মুহুর্তে পূজা মন্ডপের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও ওই কর্মকর্তা জানান ।
গোপালগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা. অসিত কুমার মল্লিক বলেন, এ জেলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মধন্য গর্বিত জেলা। এখানে জন্ম গ্রহন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের এ ঘাঁটিতে দীর্ঘ কাল ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। মুসলিম, খ্রিস্টান ও সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থান করছেন । তাই প্রতি বছর এ জেলায় পূজার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গোপালগঞ্জ শহরের বাজার যুবসংঘের পূজা মন্ডপের পূজা আয়োজন কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার সাহা দীপু বলেন, এ বছর উৎসব মুখর পরিবেশে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। মন্ডপে, মন্ডপে মূর্তি তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে। এখন মন্ডপ ও আশপাশের ডেকোরেশন, আলোকসজ্জা, গেট নির্মাণ ও সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ চলছে। আগামী ১৪ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দেবীপক্ষ । ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবী বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দূর্গাপূঁজার আনুষ্ঠানিকতা। আগামী ২৪ অক্টোবর বিসর্জণের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব সমাপ্ত হবে।