বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সমঝোতা স্মারক সই
১১ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (এবিবিএফ) একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর (এমওইউ) করেছে। এ সমঝোতা স্মারকের আওতায় দুই প্রতিষ্ঠান সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ অন্যান্য ইকোনমিক জোনে অস্ট্রেলিয়া এবং সেদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিনিয়োগ আনয়নে যৌথভাবে কাজ করবে।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও বেজা কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সমঝোতা স্মারকে সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনের পরিচালক ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং এবিবিএফ সভাপতি আব্দুল খান রতন নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্যোক্তা এবং বেজার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ ইউসুফ হারুন এমওইউ স্বাক্ষরের জন্য এবিবিএফকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগকারিদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে আমরা বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি করছি এবং পরিকল্পিত শিল্পায়নের জন্য প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে জমি প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশি ও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের মাধ্যমে সরবরাহ কাঠামো শক্তিশালী রাখা, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ ও রপ্তানির ধারা অব্যাহত রাখতে বেজা কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি জানান, সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি অধিগ্রহণসহ সকল পরিসেবা নিশ্চিত করার জন্য বেজা সহযোগিতা করছে এবং সেটা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন উত্তরাঞ্চলের যমুনা নদীর তীরে ১০৩৫ দশমিক ৯৩ একর জমির উপর অবস্থিত। সড়ক, নৌ, আকাশ এবং রেলপথে যোগাযোগের সুব্যবস্থা সম্পন্ন এই ইকোনমিক জোন উত্তরাঞ্চলের জনগণের জন্য কর্মসংস্থানের এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। এর ফলে ভারত, নেপাল এবং ভূটানের সাথে বুড়িমারী, হিলি এবং বাংলাবান্ধার (তেঁতুলিয়া) মাধ্যমে যোগাযোগের কারণে আমদানী-রপ্তানী এবং পণ্য পরিবহনের সুযোগ প্রসারিত হবে।
এবিবিএফ অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের একটি ফোরাম যার অধীনে প্রায় ৬০০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সংগঠনের সভাপতি আব্দুল খান রতন বলেন, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশী বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।
তিনি জানান, এই স্মারকের অধীনে উভয় দেশে একাধিক রোড শো ছাড়াও সেমিনার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে যেখানে সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিকল্পিত শিল্পায়নের সুযোগসমূহ উপস্থাপনের মাধ্যমে বিনিয়োগ আকর্ষণ ত্বরান্বিত হবে।