দ্রুত এগিয়ে চলছে শরীয়তপুর সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ কাজ
শরীয়তপুর, ১৮ অক্টোবার, ২০২৩ (বাসস) : জেলার প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষের আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ২৫০ শয্যার শরীয়তপুর আধুনিক সদর হাসপাতালের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। হাসপাতালের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালুহলে জেলার চিকিৎসা সেবা প্রত্যাশীরা সকল আধুনিক চিকিৎসা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. আবুল হাদী মোহাম্মদ শাহ পরান। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে হাসপাতালের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালু করা যাবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন শরীয়তপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মহিবুর রহমান পিইঞ্জ। গণপূর্ত বিভাগের তথ্যানুযায়ী ৯তলা বিশিষ্ট এ আধুনিক হাসপাতালটি নির্মাণে খরচ হবে ৫০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে হাসপাতালের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিল্লাহ হোসেন দীপু মিয়া বলেন, শরীয়তপুরবাসীর আধুনিক সুবিধা সহ হাসপাতালের দাবি দীর্ঘ দিনের। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেই শরীয়তপুরে আজ ২৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল চালুর সময় এখন সন্নিকটে। আওয়ামী লীগ সরকারের আগের সরকার দীর্ঘ ৩০ বছরেরও অধিক সময় ক্ষমতায় থাকলেও আওয়ামী লীগের এলাকা বলে তারা তেমন কোন উন্নয়নের কাজ করে নাই। কিন্তু শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেই আজ জেলা সদরের এ আধুনিক হাসপাতালটি জেলার চিকিৎসাসেবা প্রার্থীদের স্বপ্নকেও হার মানিয়ে এখন উদ্বোধনের দ্বারপ্রান্তে। এটি চালু হওয়ার মধ্যদিয়ে শরীয়তপুরের সাধারণ মানুষও পৌঁছে যাবে উন্নত চিকিৎসাসেবার দুনিয়ায়।
শরীয়তপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মহিবুর রহমান পিইঞ্জ বলেন, জেলা সদরের ১০০ শয্যার হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯তলা বিশিষ্ট এ আধুনিক হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ আগামী ২০২৪ সালে জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময়ের আগেই এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই গুণগতমান ঠিক রেখে শেষ করতে পারব বলে আশা করছি। এখানে তিনটি আধুনিক লিফটসহ থাকেবে জরুরী অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য ১টি আধুনিক ফায়ার লিফটও। এ নতুন হাসপাতাল ভবনটি চালু হলে শরীয়তপুরের স্বাস্থ্যসেবার মান অনেক বৃদ্ধি পাবে।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবুল হাদী মোহাম্মদ শাহ পরান বলেন, ২৫০ শয্যার এ আধুনিক হাসপাতালটি শরীয়তপুরের স্বাস্থ্যসেবায় এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, আধুনিক রোগনির্ণয় সরঞ্জাম, এমআরআইসহ চিকিৎসাসেবার সকল যান্ত্রপাতি। যা দ্রুত রোগ নির্ণয় ও নির্ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে জেলার সাধারণ মানুষের রোগ নিরাময়ে অত্যন্ত সহায়ক ভ’ুমিকা পালন করবে। জেলার রোগীদের তখন ঢাকা চিকিৎসা নেয়ার তেমন প্রয়োজনই পড়বে না। নিজের বাড়িতে থেকেই রোগীরা উন্নত চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।
শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার বাসস’কে বলেন, নির্মাণাধীন ২৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালটি চালু হলে পুরো শরীয়তপুর জেলার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। তখন আর আধুনিক চিকিৎসা সেবা নিতে রোগীদের চাঁদপুর, বরিশাল, ফরিদপুর ও ঢাকায় যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। এতে শুধু রোগীর আধুনিক চিকিৎসা সেবাই পাবে না ব্যয়ও কমবে অনেক। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছেন বলেই শরীয়তপুরে আধুনিক চিকিৎসা সেবার সুবিধা সম্বলিত ২৫০ শয্যার আধুনিক হাসপতালটি এখন চালুর দোরগোড়ায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, তেমনি তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে বিশ^মানে নিয়ে গেছেন।