এবার স্মার্ট বাংলাদেশ পুরষ্কার পেলেন জাহাঙ্গীর আলম শোভন
প্রেস রিলিজ
কৃষিভিত্তিক ডিজিটাল ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদান রাখায় এবার স্মার্ট বাংলাদেশ পুরষ্কার পেলেন ই-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম শোভন। মূলত বেসরকারী শাখায় শ্রেষ্ঠ কারিগরি দল হিসেবে স্মার্ট পোল্ট্রি খামার ব্যবস্থাপনা অ্যাপ ‘‘স্মার্ট-কৃষক স্মার্ট বাংলাদেশ” এই পুরস্কার জয়লাভ করেছে জাহাঙ্গীর আলম শোভন এই দলের একজন হিসেবে যুক্ত ছিলেন। কৃষি প্রযুক্তি উদ্যোক্তা মোহামম্মদ শাহীন এই দলের নেতৃত্ব দেন। গত ১৮ অক্টোবর ২০২৩ বঙ্গবন্ধু আন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছ হাতে পুরষ্কার তুলে দেন। যদিও এই পুরষ্কারটি দেয়ার কথা ছিল ৫ অক্টোবর স্মার্ট বাংলাদেশ সামিটে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি সারা বিশ্বের কাছে যেমন আলোচনার বিষয় তেমনি অনেকের কাছে বিষ্ময়। ডিজিটাল বাংলাদেশ যেমন সেবার সর্বক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তেমনি স্মার্ট বাংলাদেশের সুফল দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে যুক্ত করবে। কৃষি থেকে খামার, শিল্প থেকে পরিবার এবং সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যবহার করা হবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিগুলো। প্রধানমন্ত্রী এই সময় বেশ কয়েকটি ডিজিটাল প্রযুক্তির উদ্বোধন করেন।
এই উপলক্ষ্যে আলোচনায় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জনাব জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বঙ্গবন্ধুর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান ৭১ এর ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে নিহত শেখ রাসেল এর জীবনী তুলে ধরেন।
জাহাঙ্গীর আলম শোভন বলেন, প্রযুক্তির সুফল সর্বস্তরের পৌঁছাতে এবং কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষি খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর বিকল্প নেই। আমাদের এই উদ্যোগ স্মার্ট খামারী তৈরী করবে এবং ভোক্তাকে দিবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পোল্ট্রিপণ্য বাছঅই করার ও এ সম্পর্কিত তথ্য পাওয়ার স্বাধীনতা। এটা আমাদের কৃষিখাতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
জনাব জাহাঙ্গীর আলম শোভন ইতোপূর্বে বিগত ২০২১ সালে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরষ্কার অর্জন করেছিলেন এবং করোনাকালীন সময়ে সাপ্লাই চেইন সচল রাখতে যে কাজ করেছিলেন তার স্বীকৃতি স্বরূপ ২০২০ সালে পেয়েছেন ই-কমার্স মুভার্স অ্যাওয়ার্ড।
জাহাঙ্গীর আলম শোভন উক্ত দলে ক্রিয়েটিভ কনসালটেন্ট ও প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বর্তমানে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন এর তিনি সাধারণ সম্পাদক। বিগত ২০১৬ সালে তিনি পাঁয়ে হেঁটে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ ভ্রমণ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি একজন লেখক ও সমাজকর্মী। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৬টি।
পুরষ্কার বিজয়ী ৫ জনের দলে অন্যান্য যারা ছিলেন, মানু ফার্মস এর প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ,, মানু ফার্মের চীফ অপারেটিং অফিসার রুমানা আক্তার এবং মানু ফার্মসের কো-ফাউন্ডার আলিফ বিনতে শাহীন।