এসএসসি’র ফরম পূরণে নির্ধারিত ফি অতিরিক্ত নিলে ব্যবস্থা নেবে যশোর শিক্ষাবোর্ড
মাধ্যমিক স্কল সার্টিফিকেট পরীক্ষা এসএসসির ফরম পূরণে নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত নিলে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে যশোর শিক্ষাবোর্ড। ইতিমধ্যে ফরম পূরণের ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ফরম পূরণ শুরু হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফরম পূরণ করতে হবে। এমনটি জানিয়েছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ^াস শাহীন আহমেদ।
বোর্ডের ওয়েবসাইটে এসএসসির ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই কার্যক্রম শুরু হবে ২৯ অক্টোবর। এদিন থেকে রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় বা বিষয়সমূহে এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৩ সালের অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় বা বিষয়সমূহে অংশগ্রহণের জন্য নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করতে হবে। ২৬ অক্টোবর নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এ আবেদন করতে হবে।
৩০অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ করা যাবে। বিলম্ব ফি সহ ফরম পুরণের বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরমপূরণ ৯ নভেম্বর হতে ১৪ নভেম্বর। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফি দিতে হবে।
বোর্ড থেকে বিজ্ঞান শাখায় ফরম পূরণের ফি ২১৪০ টাকা। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের নিয়মিত (৪র্থ বিষয়সহ) বোর্ড ফি ১৬২৫ টাকা, ব্যবহারিক ফিসহ কেন্দ্র ফি ৫১৫ টাকা। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ফি ২০২০ টাকা। এর মধ্যে বোর্ড ফি ১৫৩৫ ও কেন্দ্র ফি ৪৮৫ টাকা।
ফি সংশ্লিষ্ট খাতগুলো হচ্ছে, নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পত্র প্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি পত্র প্রতি ৩০ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ফি পরীক্ষার্থী প্রতি ৩৫ টাকা, সনদ পত্র ফি পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা, বয় স্কাউট বা গার্লস গাইড ফি পরীক্ষার্থী প্রতি ১৫ টাকা ও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি পরীক্ষার্থী প্রতি ৫ টাকা।
অনিয়মিত পরীক্ষাথীদের্র যারা ইতিপূর্বে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি বা যারা করেছে তাদের জন্য প্রত্যেক বিষয়ের পত্র প্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি পত্র প্রতি ৩০ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ফি (পরীক্ষার্থী প্রতি) ৩৫ টাকা, সনদ পত্র ফি (পরীক্ষার্থী প্রতি) ১০০ টাকা, অনিয়মিত ফি (পরীক্ষার্থী প্রতি) ১০০ টাকা, বয় স্কাউট বা গার্লস গাইড ফি (পরীক্ষার্থী প্রতি) ১৫ টাকা ও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি (পরীক্ষার্থী প্রতি) ৫ টাকা।
এ ছাড়া জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের একই টাকা দিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে অনুমতি ও তালিকাভুক্তি ফি (পরীক্ষার্থী প্রতি) ১০০ টাকা দিতে। উভয় ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ফি ২০১৯-২০২০ সালের রেজিস্ট্রেশনধারী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য ২০০ টাকা ও বার্ষিক ক্রীড়া এফিলিয়েশন ফি (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতি) ৩০০ টাকা জমা দিতে হবে।
এদিকে কেন্দ্র ফি (কেন্দ্রে জমা দিতে হবে) ১ থেকে ৪ বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীসহ সকল প্রকার পরীক্ষার্থী যাদের ব্যবহারিক পরীক্ষা নেই পরীক্ষার্থী ৪০০ টাকা, ১ থেকে ৪ বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীসহ সকল প্রকার পরীক্ষার্থী, যাদের ব্যবহারিক পরীক্ষা আছে; পরীক্ষার্থী প্রতি ৪৫০টাকা।
এসএসসি পরীক্ষার ব্যবহারিক উত্তরপত্র মূল্যায়ন ফি (অভ্যন্তরীণ ও বহিঃপরীক্ষকদের জন্য) পত্র প্রতি ১০টাকা, ব্যবহারিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও আনুষঙ্গিক কর্মসম্পাদনের পর পরই কেন্দ্রসচিব ব্যবহারিক উত্তরপত্র মূল্যায়ন ফি বাবদ আদায়কৃত অর্থ থেকে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষককে উত্তরপত্র প্রতি ৫ টাকা এবং বহিঃপরীক্ষককে উত্তরপত্র প্রতি ৫ টাকা হারে সম্মানী বা পারিশ্রমিক পরিশোধ করবেন।
টিএডিএ বা উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য কোন প্রকার সম্মানী প্রদান করা যাবে না। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারিক ফি ২৫ টাকা। যার বিভাজন হবে কেন্দ্র ৭ টাকা , তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা পরীক্ষক ১০টাকা এবং প্রতিষ্ঠানে ৮ টাকা দিতে হবে।
এ ব্যাপারে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহীন আহমেদ জানান, কোন বিদ্যালয় যদি কোন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে বোর্ড নির্ধারিত ফিসের চেয়ে বেশি টাকা নেয়; তাহলে ওই পরীক্ষার্থীকে জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বোর্ডের কাছে লিখিতভাবে জানাতে হবে। এরপর তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।