বিশ্বশীর্ষ নিউজসংগঠন সংবাদ
জেদ্দায় রাসেল এর ৬০তম জন্মদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়
প্রবাসীদেরকে দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রী’র ম।
সৌদিআরব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেল-এর জন্মবার্ষিকী পালন জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে ১৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর ৬০তম জন্মদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বিকাল ০৪:৩০ ঘটিকায় কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে মান্যবর কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, এমপি প্রধান অতিথি এবং সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ শেখ রাসেল-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অতঃপর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তর্ৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। শেখ রাসেল-এর উপর নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের জন্য শেখ রাসেল এর উপর উন্মুক্ত কুইজ প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।
মান্যবর কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে নিহত শিশু শেখ রাসেলসহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন শিশু রাসেল ছিলেন সদা হাস্যেজ্বল, প্রাণচঞ্চল, মায়াভরা মুখ এক দুরন্ত শিশু, যার মধ্যে ছোট বয়স হতেই অসাধারণ মানবিক গুণাবলী ফুটে উঠেছিল। তিনি আরও বলেন ঘাতকরা কোমলমতি এই নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করে জাতির পিতার উত্তরসূরি নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল কিন্তু তারা সফল হয়নি, শিশু শেখ রাসেল আজও বেঁচে আছেন সকলের হৃদয়ে।
তিনি বলেন শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজ আমরা এক দূরদর্শী, মানবিক, আদর্শ নেতা পেতাম, যিনি বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জন করেছে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে মান্যবর কনসাল জেনারেল জানান। তিনি প্রবাসীদেরকে দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
অতঃপর মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তঁার বক্তৃতায় শেখ রাসেল এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে জেদ্দাবাসীকে শুভেচ্ছা জানান এবং শেখ রাসেল এর জীবন সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসাধারণ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁর নেতৃত্বে পুনরায় সরকার গঠনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং নির্বাচনে প্রবাসীদের সমর্থন কামনা করেন। এছাড়াও মাননীয় মন্ত্রী রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় প্রবাসিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাতির পিতা এবং শেখ রাসেলসহ তঁার পরিবারের সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় এবং দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (বাংলা ও ইংরেজি) শাখার ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা, স্থানীয় বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। —–