পট্টি গ্রামে বাহার গঙের ষড়যন্ত্র মামলায় দিশেহারা পঙ্গু অসুস্থ বিবাদীরা
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বাসুদেবপুর পট্টি গ্রামে একটি চক্র মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় সাধারন মানুষকে অযথা হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি এসব হয়রানি থেকে রেহাই পাচেছনা অসুস্থ পঙ্গু মানুষ জন। শারিরীক চরম অসুস্থ এসব পঙ্গু মানুষকে এখন আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। এসব মিথ্যা ও হয়রানি মামলার বিষয়টি পুরো রোহিতা ইউনিয়ন জুড়ে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।
পট্টি গ্রামের মৃত খাদেম আলী মোড়লের ছেলে আকবর আলী বাদি হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরামপুর আদালতে একটি মামলা করেছেন। এই মামলার আসামিরা হলেন, একই গ্রামের মৃত জসিম উদ্দীনের ছেলে খতিব হোসেন (৫৬), মৃত মতিয়ার ফকিরের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৫,)
খতিব হোসেন ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০), মৃত মতিয়ার রহমানের স্ত্রী আশু বিবি ( ৫০), বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী শিরিনা কাতুন (৩৫), শহিদুল ইসলামের স্ত্রী বিথী খাতুন (২৬) ও খতিব হোসেনের ছেলে ইউসুফ আলী (২৮)। মামলা নম্বর, পি-১০৬৭, সি.আর-৭২২/২৩, তারিখ-৩/৮/২৩।
মামলার স্বাক্ষীরা হলেন, মৃত জিহাদ আলী মোড়লের ছেলে আশাবুল ও শহিদুল ইসলাম, আকবর আলীর ছেলে আ: গফুর, মৃত আক্কাচ আলীর ছেলে আছের উদ্দীন। স্বাক্ষীরা সকলেই পট্টি গ্রামের বাসিন্দা ও মামলার বাদির আত্মীয় স্বজন।
জানা যায়, মামলার ৩নং আসামী শহিদুল ইসলাম প্যারালাইজড হয়ে বর্তমানে পঙ্গু জীবন যাপন করছেন। তার হাটা চলার ক্ষমতা নেই।
৪নং আসামি আশু বিবি হার্ট অপারেশনের পর তার পিত্ত থলি কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনিও শারিরীক ভাবে চরম অসুস্থ।
যে স্থানের গাছ কাটার অভিযোগ করা হয়েছে সেই জমিটির ১/১ খতিয়ানের ১৮ শতকে মামলার বিবাদিরা বসবাস করছেন। সেখানে বিবাদিরেদ ঘর, রান্নাঘর, গোয়ালঘর রয়েছে। অথচ ষড়যন্ত্রকারী বাহার তাদের জমাজমির প্রকৃত কাগজপত্র ফেরত দিচ্ছে না। এটি তিনি আত্মসাৎ করার পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলার আসামিরা জানান, একই গ্রামের মৃত মান্দার মোড়লের ছেলে বাহার এসব ষড়যন্ত্রের মূল হোতা। কেননা এই বাহার থেকেই ২০১৯ সালে এসব জমি থেকে গাছ কেটেছিল। তার সাথে ছিল জিহাদ আলী মোড়লের দুই ছেলে আশরাফুল ও শহিদুল ইসলাম, আকবর আলীর ছেলে আব্দুল গফুর প্রমুখ। পরে রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের তখনকার চেয়ারম্যান আনছার আলী, নায়েব ঘটনাস্থলে যান এবং বিষয়টি নিজে দেখভাল করেন।
জানা যায়, বাহার একজন চিহ্নিত টাউট শ্রেনীর মানুষ। গ্রামসহ সারা এলাাকায় তার অপকর্মের শেষ নেই। এমনকি সে নিজের আপন দুই ভাইয়ের ক্রয়কৃত জমিও নিজ কব্জায় জবর দখল করে রেখে দিয়েছে। তার আপন এক ভাই ৫/৬ মাস আগে পার্শ্ববর্তী ফাঁড়ি ইনচার্জের কাছে একটি অভিযোগ করলেও আজো তার কোন সুরাহা হয়নি। ওই ভাই এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকারও করেছেন।