চৌগাছা-মহেশপুরের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ পাচার রুট
যশোরের চৌগাছা উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত ও ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত এলাকা স্বর্ণ পাচার রুট হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। আন্দুলিয়া, যাদবপুর, গোপালপুর, দৌলতপুর, জলিলপুর, মাসিলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে স্বর্ণ পাচার হয় নিয়মিত।
প্রায় এখানে প্রশাসনিক সদস্যরা স্বর্ণসহ পাচারকারীকে আটক করছে। তবে অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় আটককৃতরা স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের জন। এরা তৃণমূলের সিন্ডিকেট কর্মী। এ কারনে এরা স্বর্ণ বহনে জড়িত। তবে এরা সাধারনত ভেতরের কোন খবর রাখেনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা গত কয়েক বছরে যশোার অঞ্চল থেকে বিপুল পরিমান স্বর্ণ বার ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাচারকারী জন আটক হয়েছে। তবে আটকের বেশিরভাগ স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের রাঘব বোয়াল নয়।
কয়েকজন জনপ্রতিনিধি বলেন, নাম ধামের প্রয়োজন নেই, তবে চৌগাছার সাথে কয়েক জেলার ও ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত সহজ পথ রয়ছে। তাছাড়া এখান থেকে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে যাওয়া যায়। এসব কারনে মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালানের বিশাল বলয় রয়েছে চৌগাছা ও মহেশপুর উপজেলার সীমান্তে। অভিযোগ রয়েছে কিছু বিপথগামী জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় পর্যায়ের কিছু রাজনীতিকরাও এসব চক্রে সম্পৃক্ত। তবে তাদের বিষয়ে প্রশাসনের তেমন কিছু করার থাকেনা। কেননা তারা চোরাই পণ্য থেকে দুরে থাকেন।
সর্বশেষ ছয়টি স্বর্ণের বারসহ নাঈম হোসেন (১৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে চৌগাছা সীমান্তের লক্ষীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক নাঈম (১৮) মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার উজ্জ্বল হোসেনের ছেলে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন একজন চোরাকারবারী চৌগাছা সীমান্তের কপোতাক্ষ নদ ব্যবহার করে স্বর্ণ নিয়ে ভারতে যাবে। এরপর বিজিবির একটি টহলদল কপোতাক্ষ নদের তীরে অবস্থান নেয়। দুপুর দেড়টার দিকে নাঈম নামে এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাকে আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশির এক পর্যায়ে তার প্যান্টের কোমড়ের ভেতরে সেলাই করা অবস্থায় ছয়টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য ৭০ লাখ টাকা।
তিনি আরও জানান, মামলা দিয়ে আসামিকে চৌগাছা থানায় হস্তান্তর এবং স্বর্ণ ট্রেজারিতে জমা কর হয়েছে।