জেরুজালেম, ৮ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক) : গাজায় বোমা হামলায় দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ)-এর এক কর্মী নিহত হয়েছে। হামলায় তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও প্রাণ হারিয়েছে। সংস্থাটি মঙ্গলবার এই কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
এমএসএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান মোহাম্মাদ আল-আহেল শাটি শরণার্থী শিবিরে তার বাড়িতে বোমা হামলায় নিহত হয়। ওই এলাকায় বোমা হামলার সময় বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয়। এতে বাড়িটি ধসে পড়ে।
দাতব্য সংস্থা জানায়, ‘আজ ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স/মেডিসিন সানস ফন্টিয়ার্স (এমএসএফ) গাজায় আমাদের গ্রুপের সদস্য মোহাম্মাদ আল আহেল নিহত হওয়ায় শোক প্রকাশ করছি। সে ৬ নভেম্বর বোমা হামলায় পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যেসহ নিহত হয়।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটা স্পষ্ট যে, গাজার কোন স্থানই নৃশংস ও নির্বিচারে বোমা হামলা থেকে নিরাপদ নয়।’
দাতব্য সংস্থাটি বলেছে, ‘ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির জন্য আমাদের বারবার আহ্বানের কোন সাড়া দেওয়া হয়নি। তবে আমরা জোরদিয়ে বলেছি যে, গাজা জুড়ে আরো কান্ডঞ্জানহীন মৃত্যু রোধ করার এবং এই উপত্যকায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তার সুযোগ করে দেওয়ার একমাত্র উপায় সেখানে যুদ্ধবিরতি পালন।’
এমএসএফের ফ্রান্সের মহাপরিচালক ক্লেয়ার ম্যাগন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, গাজার জনগণের রক্ত ঝরছে এবং উদ্ধারকর্মীরা কার্যত দূর্বল’ হয়ে পড়েছে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ) জানায়, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ১৯২ জন স্বাস্থ্য কর্মী নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে একটি সঙ্গীতানুষ্ঠান এবং বিভিন্ন ঘরবাড়িতে চালানো হামাসের ভয়াবহ হামলায় কমপক্ষে ১,৪০০ জন নিহত হয়েছে। হামাসের হামলায় নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। হামাসের হামলার প্রথম দিনে তাদের নির্বিচারে গুলি করে ও পুড়িয়ে মারার এবং ২৩০ জনেরও বেশি লোককে জিম্মি করার পর ইসরায়েল গাজা অবরোধ করে এবং সেখানে ব্যাপক বোমা হামলা চালায়।
গাজায় হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজায় চালানো ইসরায়েলের হামলায় ১০,৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। এদের প্রায় অর্ধেকেরও বেশি শিশু।
সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।