মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আপিলে শামসুল হকের সাজা কমে ১০ বছর
ঢাকা, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস): মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামালপুরের শামসুল হককে আমৃত্যু কারাদ- থেকে কমিয়ে ১০ বছরের কারাদ- দিয়েছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
আমৃত্যু কারাদ-ের রায় খালাস চেয়ে আনা আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান এ. সিদ্দিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
গত ১৮ অক্টোবর এ মামলায় আপিল শুনানি শেষ হয়। এর আগে তাকে আমৃত্যুকারাদ- দিয়ে ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে এ মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদ- ও পাঁচ আসামিকে আমৃত্যু কারাদ- দেয়া হয়। মৃত্যুদ-াদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন- জামালপুরে আশরাফ হোসাইন, আবদুল মান্নান ও আবদুল বারী। আর আমৃত্যু কারাদ- দেয়া হয় ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক শরীফ আহম্মেদ ওরফে শরীফ হোসেন, হারুন, আবুল হাশেম, মো. শামসুল হক ওরফে বদর ভাই ও এস এম ইউসুফ আলীকে।
দ-িতদের মধ্যে কেবল শামসুল ও ইউসুফ কারাগারে ছিলেন। অন্য ছয়জনকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার শেষ করা হয়। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন শামসুল ও ইউসুফ। আপিল বিচারাধীন অবস্থায় ইউসুফের মৃত্যু হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট ও মরদেহ গুমের পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলায় দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পর ছয় আসামীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছে। তারা হলেন-জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, মোহাম্মদ কামারুজ্জান, আবদুল কাদের মোল্লা, মীর কাশেম আলী ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। চূড়ান্ত রায়ে আমৃত্যু কারাদ-ে দ-িত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সাজা ভোগকরাকালীন ইন্তেকাল করেন। আপিল বিভাগে আরো বেশকটি আপিল মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।