বরিশালে নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু’র তর্জনী ভাস্কর্য ‘জয় বাংলা’
বরিশাল, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : জেলায় প্রায় ৭০ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু তর্জনী ভাস্কর্য। ৪২ ফুট উচুঁ ভাস্কর্যটি বিশ্বের হাত ভাস্কর্যের মধ্যে উচ্চতার দিক থেকে অন্যতম। উম্মোক্ত করে দেয়া হয়েছে নবনির্মিত একমাত্র বঙ্গবন্ধু’র তর্জনী ভাস্কর্য ‘জয় বাংলা’।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরীর বান্ধ রোড কীর্তনখোলা নদীর কোলঘেষে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা পার্ক সংলগ্ন নব-নির্মিত ড্রেজার বেইজ ভবন এলাকার অভ্যন্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তেজদীপ্ত তর্জনী ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মিত স্থাপনাটি কীর্তনখোলা নদী তীরবর্তী হওয়ার কারণে, চলমান যাত্রীবাহী নৌযান থেকে যাত্রীরা দিনে ও রাতে বঙ্গবন্ধ’ুর সৌন্দর্য মন্ডিত ঐতিহাসিক তর্জনী ভাস্কর্যটি উপভোগ করতে পারেন।
সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর উদ্যোগে ও জিওবি-এর অর্থ্যায়নে নির্মাণ করা হয় এ স্থাপনাটি। স্থাপনাটি নির্মাণে সহযোগিতা করেছেন ঢাকা থেকে আগত স্ক্রাপচার শিল্পী সুদিপ্ত। এতে জাতির জনকের প্রতি বিআইডব্লিউটিএ-এর সম্মান প্রকাশের অভিব্যক্তিও প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ-এর উপ সহকারী প্রকৌশলী (পুর.) মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ভাস্কর্যটির চার পাশে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৬’র ছয় দফা দাবি, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থ্যান, ৭১’র মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলো টেরাকোটার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়াও নানা ধরনের অত্যাধুনিক অপটিক্যাল ফাইবার, হোয়াইট সিমেন্ট, পাথরসহ নানা দ্রব্যাদি দিয়ে নির্মিত ভাস্কর্যটি। লাইটিং, টাইলস, মার্বেল পাথরের ওপরে আছে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক তর্জনীটি।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর.) মো: মামুন উর রশীদ বলেন, ২০১৭ সালের অক্টোবরে ইউনসেকো বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে এ ভাষণ বিশ্বের সবার। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ৭ই মার্চের সেই ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে বরিশাল অঞ্চলের ইতিহাসে এ প্রথম ও একমাত্র তর্জনী ভাস্কর্য ‘জয় বাংলা’ “ঈধষষ ভড়ৎ ৎবফবসঢ়ঃরড়হ” নির্মাণ করা হয়েছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বরিশালবাসীর কাছে তুলে ধরা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ভাষণের তাৎপর্য ও গুরুত্ব অপরিসীম। এ বিষয়টি বরিশালবাসীসহ বিআইডব্লিউটিএ-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হৃদয়ে ধারন করা প্রয়োজন রয়েছে।