চট্টগ্রামশীর্ষ নিউজ
কর্ণফুলীতে চাকরির প্রলোভনে তরুণীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার-৩
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ১৮ বছর বয়সি এক তরুণীকে ভাড়া ঘরে আটকে রেখে পালাক্রমে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
গত বুধবার (৬ ডিসেম্বর) উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের জামালপাড়া এলাকার হাসনাত ভবনের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষকেরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করায়, জানাজানি হয় পরে। তবে ঘটনার পরপরই জড়িতের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় বোন তসলিমা আক্তার (২২) কর্ণফুলী থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে আসামিরা হলেন-শিকলবাহা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মনু মাঝির বাড়ির মৃত আবদুল গফুরের ছেলে মো. সেকান্দর (৩৮), পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ মনসা গ্রামের দোস্ত মোহাম্মদ বাড়ির ইদ্রিসের ছেলে মো. নাঈম উদ্দিন (২৮) এবং আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন বাদামতল এলাকার বজল বাড়ির মৃত আলী আকবরের ছেলে মো. মুছা (৪৭)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম নগরীর তুলাতলি এলাকায় এক ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। পাশাপাশি সে নগরীর একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। গত ৩ ডিসেম্বর ভিকটিম তার কারখানার এক বান্ধবীকে কারখানার চাকরি করতে ভালো না লাগার কথা জানান। তখন ওই বান্ধবী ভিকটিমকে বান্ধবীর পরিচিত একজনের মাধ্যমে শিকলবাহা সূর্যের হাসি ক্লিনিকে চাকরির কথা দেন।
সে অনুযায়ী গত ৬ ডিসেম্বর ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভিকটিম ও তার বান্ধবীর পরিচিত জনের মাধ্যমে সূর্যের হাসি ক্লিনিকে চাকরির আশায় নতুনব্রীজ এলাকায় আসলে ৩ নম্বর আসামি মুছা তাঁকে সিএনজি যোগে ঘটনাস্থলের তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যান।
তখন তারা ভিকটিমকে হাত-পা বেঁধে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রথমে ওই বাসার কেয়ারটেকার ১ নম্বর আসামী সেকান্দর ধর্ষণ করেন। এর ৩০ মিনিট পর শিকলবাহা আব্দুল সোবহান মার্কেটের একটি থাই এ্যালুমিনিয়াম দোকানের কর্মচারী দুই নম্বর আসামি নাঈম উদ্দিন জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
পরে ঘটনাটি ওই এলাকার স্থানীয়দের নজরে আসলে এলাকার কয়েকশত লোক ভাড়াবাসাটি ঘেরাও করে। তখন পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করলে পুলিশ এসে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ জড়িতদের গ্রেফতার করেন।
যদিও স্থানীয়দের দাবি ওই ভাড়া বাসার কেয়ারটেকার সেকান্দর প্রায় সময়ে সেখানে অসামাজিক কাজ করতেন। এর তিনমাস আগেও তাঁকে হাতেনাতে ধরতে না পারলেও এলাকার লোকজন সতর্ক করেছিলেন।
এ ব্যাপারে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অপরাধে বুধবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে দুইজন এবং পরে আরও একজনসহ মোট তিনজকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।