নিন্দুকের সকল জল্পনা কল্পনা বিতাড়িত করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড.তোফায়েল আহমেদের একমাত্র জামাতা যশোর-২ আসনে নৌকা মার্কার ডা. তৌহিদুজ্জামান জয়ী হয়েছেন। এর ফলে শেখ হাসিনা কতৃক প্রদত্ত নৌকা প্রতীক সেখানে আবারো তার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করেছে। অথচ এই এলাকার তাবত নেতারা এই জয় সম্পর্কে সন্দিহান ছিলেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোর-২ (ঝিকরগাছা- চৌগাছা) আসনে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন। তিনি ১ লাখ ৬ হাজার ৩৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম ছিলেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির। তিনি পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৮২ ভোট।
রোববার ৭ জানুয়ারি রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাসান মজুমদার তার কার্যালয়ে এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঝিকরগাছায় ভোটের মাঠ ছিল বেজায় সরগরম। এখানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন নৌকা মার্কার সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম। তার মার্কা ছিল ঈগল পাখি। তার আরেক পরিচয় তিনি বঙ্গবন্ধুর সাবাশ চেয়ারম্যানের ছেলে। তবে আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনার প্রদত্ত নৌকা মার্কার ছায়াতলে প্রবীন আওয়ামীলীগাররা এক এক করে ভিড়তে থাকায় বিজয় এসেছে। এই আসনের সাবেক এমপি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ডা: নাসির উদ্দীন, চৌগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, ঝিকরগাছা পৌর মেয়র মোস্তফা জামাল পাশা, মন্ত্রী পুত্র দেবুসহ নতুন ভোটারদের বড় একটি অংশ নৌকা মার্কাকে নিরাপদ মনে করে তার বিজয়ে মনোনিবেশ করেন।
সাধারন ভোটাররা বলেছেন, যশোর-২ ঝিকরগাছা-চৌগাছা আসন এলাকায় মনিরুল-মুছা জোট ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা খুনের রাজনীতি মুক্ত অঞ্চল গড়তে চায়। প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন এই আসন এলাকায় আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসঙ্গঠনের অনেক নেতা-কর্মী খুন হয়েছেন। নেতাদের বিরাগভাজন হয়ে তারা খুন হয়েছেন বলে ভূক্তভোগী পরিবারগুলো মতামত ব্যক্ত করেছে। তবে তাদের এসব কথার সত্য মিথ্যা যাচাই করা হয়নি কোন পক্ষ থেকেই।
যশোর-২ আসনে মোট ভোট কাস্টিং হয়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫৭। শতকরা ভোটের হার ৪২.২৩%।
এরআগে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর শুরু হয় গণনা। আসনটির ১৭৬ ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও, ডাব প্রতিকের আব্দুল আওয়াল পেয়েছেন ১ হাজার ২৪৫, লাঙ্গল প্রতিকের ফিরোজ শাহ ১৯৫০, টেলিভিশন প্রতিকের শামসুল হক ১ হাজার ২০০, ঈগল প্রতিকের এস এম হাবিব ২২২ ভোট পেয়েছেন।
ডা: তৌহিদুজ্জামানের বিজয় ও নতুন এমপি পেয়ে যারপরনাই চৌগাছাবাসী খুশি।
চৌগাছাবাসী মতামত ব্যক্ত করেছেন, তারা উন্নয়ন বঞ্চিত। নতুন এমপি তাদের এতদিনের উপেক্ষার যুগ শেষ করে নতুন সম্ভাবনার আধুনিক স্মার্ট চৌগাছা স্থাপিত করবেন।