কুড়িগ্রামে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
কুড়িগ্রামে দুই দিন পর রবিবার ফের জেলাজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
আজ রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, রবিবার সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৮ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল ছিল ১১ দশমিক ৪ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে গত দুই দিন ধরে কিছুটা তাপমাত্রা বাড়লেও আজ আবার তাপমাত্রা কমায় জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহে জনভোগান্তি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এদিকে, ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে তাপমাত্রা হওয়ায় জেলা প্রাথমিক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে আবারো জেলা প্রশাসকের নির্দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ।
এদিকে, তীব্র ঠান্ডায় কাতর হয়ে পড়েছে উত্তরের এ জনপদ। ঘন কুয়াশার সাথে শীতের ঠান্ডার তীব্রতায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে প্রচন্ড কুয়াশায় ছেয়ে গেছে গোটা জনপদ। এ অবস্থায় মাঘের শুরুতে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় জেলার মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম সম্পন্ন করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
শহরের শাপলা চত্বরে মোটরসাইকেল চালক রাজু মিয়া জানান, কুয়াশার কারণে বাইক চালানো যাচ্ছে না। তবুও হেডলাইট জ্বালিয়ে কাজের প্রয়োজনে চালিয়ে আসতে হচ্ছে।
এদিকে, ঠান্ডার প্রভাব না কমায় শ্রমজীবী নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছে চরম বিপাকে। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগী ক্রমেই বাড়ছে।
জেলার জেনারেল হাসপাতালে শুধু শিশু ওয়ার্ডে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ১২ শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডেও শিশু ও বৃদ্ধ প্রায় অর্ধশতাধিক ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। টানা শৈত্যপ্রবাহে বোরো বীজতলা ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকদের। বিলম্বিত হচ্ছে চলতি বোরো মৌসুমে জমিতে সেচসহ বোরো বীজ লাগানো।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, বীজতলা ক্ষতি যাতে না হয় সেজন্য কৃষকদের পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দেওয়াসহ কুয়াশা সরিয়ে নিতে পাতলা কঞ্চি দিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে।