শীতের স্নিগ্ধ সকালে অফিসের প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেই সকলের চোখে পড়বে শিশির বিন্দুতে ভিজে লাল টকটকে হয়ে উঠেছে গোলাপ ও গাঁদা ফুল। হিমেল হাওয়ায় সতেজ হয়ে উঠেছে গাঁদা ফুলের গাছগুলো। উড়ে উড়ে ফুল থেকে ফুলে প্রজাপতি আর মৌমাছির নাচন।
সাজানো গোছানো ফুল বাগানের চারদিকে মৌ মৌ করছে রঙিন ফুলের সৌরভ। ফুলের পরশে এমনই মোহনীয় হয়ে উঠেছে যশোরের মণিরামপুর উপজেলা ভূমি অফিসের আঙিনা। উঁচু ভবন থেকে দেখলে মনে হবে যেন এক টুকরো মাটিতে ফুলের গালিচা বিছিয়ে সংবর্ধনা দিতে আপনাকে ডাকছে।ভোরের শীতল রোদের কিরণ ফুলের গায়ে পড়তেই চারিদিকে তার আভা ছড়িয়ে পড়ে। গাছের পাতার ভাঁজে ভাঁজে হেসে উঠে সবুজ প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য।
আবার রাতের আঁধারে নানান রঙের আলোর ঝলকানিতে ফুলের বাগানটি মুগ্ধ করবে যে কাউকে। বাগানের পাশে রয়েছে একটি গোলঘর যেখানে বসে আপনি অনায়েসে আড্ডা দিতে পারবেন। উপভোগ করতে পারবেন নয়ন জুড়ানো দৃশ্য।সরকারি অফিসের আঙিনায় পরিত্যক্ত জমিতে প্রাকৃতিক দৃশ্য তৈরিতে উদ্যোগ নিয়েছেন মণিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান।
এই সৌন্দর্য্য পিপাসু সরকারি কর্তার যোগদানের পর থেকে ভূমি অফিসের আঙিনা সাজাতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ভূমি অফিসের গেট দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে বিশাল এক কৃষি বাগান। যেখানে, বেগুন, পেঁপে, লালশাক, পালংশাক, ধনেপাতা, মুলা, গাজর, কলাগাছসহ মৌসুমের নানা শাক-সবজির গাছ রয়েছে। আর এসব গাছ থেকে উৎপাদিত হচ্ছে বিষমুক্ত শাক-সবজি। সবজি বাগানের দু’পাশে রোপণ করা হয়েছে বিভিন্ন ফলের গাছ।সরকারি অফিসের আঙিনার পরিত্যক্ত জমি কাজে লাগিয়ে হতে পারে বিকল্প কৃষি। অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যেতে পারে কৃষির মধ্য দিয়ে। পরিবেশ রক্ষায়ও রাখতে পারে অনন্য ভূমিকা। এর দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ তৈরি করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান । ছোট এই কৃষি বাগান অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে সবার।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান বলেন, এক টুকরো জমি খালি রাখা যাবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা কাজে লাগাতে উপজেলা ভূমি অফিসের পরিত্যক্ত জমিতে ফুল-ফল ও কৃষি বাগান করা হয়েছে। এখানে বিষমুক্ত সবজি ও ফল উৎপাদন হচ্ছে। অবসর সময়ে এ বাগানে সুন্দর সময় কাটানো যায়। মন প্রফুল্ল হয়। আমাদের নিজেদের আঙিনার ছোট ছোট জমিকে কাজে লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই কৃষি বাগান।