ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারী লীডারশীপে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অনেক এগিয়ে গেছে। যেখানে শেখ হাসিনা আছেন; সেখানে আর কিছু বাধা থাকে না। তিনি বলেন, আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন। যতই সংকট হোক তাঁর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর অথবা সংস্থাসমূহের আগামী এক বছরের কর্মপরিকল্পনা এবং আগামী পাঁচ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনার বিষয়ে বিশেষ উন্নয়ন সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প নেয়া হবে না। মন্ত্রণালয়ের যতগুলো প্রকল্প আছে সেগুলোর কাজ সম্পন্ন করা হবে, নতুন প্রকল্পও নেয়া হবে। তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব রয়েছে। সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বাংলাদেশ ডেভেলপিং কান্ট্রি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এটা ধরে রাখতে হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আজকে অনন্য উচ্চতায় চলে গেছে-উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে রুটিন ওয়ার্ক হত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারী লীডারশীপে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অনেক এগিয়ে গেছে। তিনি আমাদের ভিশন দিয়েছেন। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন করা হয়েছে।’’
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বন্দর ‘পায়রা বন্দর’ নির্মাণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বদ্বীপ পরিকল্পনা দিয়েছেন। নদীর নাব্যতা রক্ষায় কাজ হচ্ছে। মেরিটাইম সেমক্টরের উন্নয়নের জন্য নতুন নতুন মেরিন একাডেমী এবং মেরিটাইম ইনস্টিটিউট নির্মাণ করা হচ্ছে।’’
তিনি বলেন, দেশে এ পর্যন্ত আটটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর যে ভিশন, চিন্তাচেতনা; সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দেখতে পাই।
নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচন নিয়ে যারা চাপ দিয়েছে; তারা নির্বাচনের পর মাথা নত করেছে। জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিল। বাংলার মানুষ ভোটের মাধ্যমে এই ইশতেহার বাস্তবায়নের ম্যান্ডেট দিয়েছে। আমরা সকলে মিলে ইশতেহার বাস্তবায়ন করবো।
প্রতিমন্ত্রী দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর আজ মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম বৈঠক করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানান। জেলখানায় শহীদ জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ এবং আত্মত্যাগকারি মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল, পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক, মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব ড. এম মতিউর রহমান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামরুন নাহার, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর জিয়াউল হক, চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ক্যাপ্টেন আই কে তৈমুর, বরিশাল মেরিন একাডেমীর কমান্ড্যান্ট ক্যাপ্টেন এস এম আতিকুর রহমান, রংপুর মেরিন একাডেমীর কমান্ড্যান্ট ক্যাপ্টেন মোঃ শফিকুল ইসলাম সরকার, সিলেট মেরিন একাডেমীর কমান্ড্যান্ট নৌ প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির, পাবনা মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট (ভারপ্রাপ্ত) ক্যাপ্টেন মো: তৌফিকুল ইসলাম, নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক সুমন বড়ুয়া, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম এর অধ্যক্ষ আতাউর রহমান, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট মাদারীপুর এর অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নৌ প্রকৌশলী মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১৭টি দপ্তর অথবা সংস্থা আগামী এক বছরের কর্মপরিকল্পনা এবং আগামী পাঁচ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।