শীর্ষ নিউজসংগঠন সংবাদ

ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েসন যশোরে সংবাদ সম্মেলনে হতাশা ব্যাক্ত


মালিকুজ্জামান কাকা
ডিপ্লোমা ডাক্তাররা রবিবার প্রেসক্লাব যশোরের সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, চরম দুর্দিনে আমরা আপনাদের সামনে এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছি। প্রশাসনিক এবং একটি গোষ্ঠী) স্বাস্থ্য বিভাগ কে ধ্বংস করার জন্যে উঠেপড়ে লেগেছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশন যশোর জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা ডাঃ গোলাম মোস্তফা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি ডাঃ শেখ নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ কামাল হোসেন, ডাঃ ফিরোজ আহমেদ, ডাঃ সাহাবুর রহমান, ডাঃ দেবাশীষ তরফদার, ডাঃ হজরত আলী, ডাঃ তাহাজুদ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের ৮৫ পার্সেন্ট গরীব জনগনকে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত করার এরা উঠে পড়ে লেগেছে। বাংলাদেশের ৪৫৫৪ টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং ৫০০ উর্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারগন তথা ডিপ্লোমা চিকিৎসকগণ ১৯৭১ মাস থেকে নিরলসভাবে অত্তান্ত সফলতার সাথে এই সেবা কেন্দ্র গুলোতে বহীরবিভাগ সেবা ও ইমাজেন্সি সেবা দেয়। কিন্তু দীর্ঘ ৪৫ বছর পার হওয়ার পরও এই চিকিৎসকদের পদন্নতি, পেশাগত মান উন্নয়ন, উচ্চ শিক্ষা এবং ম্যাটিন ছাত্রদের কোন কারিকুলাম আধুনিকীকরন ও যুগোপযোগী করার কোন লক্ষন নেই। বরং স্বৈরচারী সরকার ১৩৫০০ কামিউনিটি ক্লিনিকে কোন রকম চিকিৎসার জ্ঞানহীন সিএফসিপি নিয়োগ দিয়ে গ্রামীন জনগানের সাথে প্রতারনা করেছে। গ্রামীগ জনগনের স্বাস্থ্য সেবাকে হাস্যকর করে তুলেছে। তদুপরি মাটস শিক্ষাব্যবস্থার বিলোপ করতে, উপসহকারী কর্মীউনিটি মেডিকেল অভিসারদের শূণ্য পদে নিয়োগ না দিয়ে, তাদের পেশাগত পরিচয়কে মুছে দিয়ে, তাদের যাতে কোন রকম পেশাগত মানউন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ না হয় সেজন্য চারা প্রতিপ্তর ও চিকিৎসা ব্যবস্থা আল করে দেওয়ার হুমকি। দিচ্ছে। এটা এই চকিৎ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গরীর ধড়যন্ত্র। গ্রামের লোকদের চিকিৎসাহীন বাধয়ে তার উঠে পড়ে লেগেছে। যাদের খত্না নেবতে তাই গাধা ও ব্যায়বহন করার চড়ার নেমেছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের জন্য মমরা চাচির বিবেক সাংবাদিক যন্ত্রগনের কাছে ছুটে এসেছি। আপনারা গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য সেবাকে বাঁচান। মাস্থ্য বিভাগের এই নিতিকেট এবং সফরের মোয়ানের মুখোশ জাতির সামনে তুলে ধরুন। আমাদেরকে বাঁচান।
পেশাজীবি উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, বেকার ডিপ্লোমা চিকিৎসকগন ও ম্যাটস শিক্ষার্থী সহ আমাদের নিম্নোক্ত চার দফা দাবীঃ
১। অন্যান্য ডিপ্লোমাদের ন্যায় দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ। অতিশীঘ্র দশম গ্রেডে শূন্য পদগুলোতে ডিপোমা চিকিৎসকদের নিয়োগ দান। কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার মান বৃদ্ধি করতে সাড়ে ৪ বছরের মেডিকেল ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসকদের নিয়োগ দান ২. ম্যাটস কারিকুলামকে আধুনিকীকরণ, যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরন ৩.  অন্যান্য ডিপ্লোমাদের ন্যায় এবং রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের অংশ হিসেবে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ এবং পৃথক মেডিকেল কলেজ অথবা বিদ্যমান মেডিকেল কলেজে প্রতিযোগীতামূলক অংশগ্রহনের ব্যবস্থা করা ৪.  মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ গঠন, প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন ও ডিগ্রীর নাম পরিবর্তন।
আপনারা জানেন দীর্ঘ ৪৫ বছরের কম-বেশি সময় থেকে আমরা এ দাবী-দাওয়া গুলো নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেই। আপনারা জানেন দুলাই আগষ্ট্রের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সফল পরিনতিতে ডিপোমা চিকিৎসকদের দীর্ঘ ৪৫ বছরের বৈষম্যের অবসান হওয়ার স্বপ্নে আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি। সরকার কথা দিয়েছিলো ৩ মাসের মধ্যে দৃশ্যমান পরিবর্তন করবে। কিন্তু কথা রাখে নাই। আমাদের সম্মিলিত আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিগত ২২/০১/২০২৫ তারিখে মন্ত্রনালয় সাত দিনের সময় দিয়ে নোট অব ডিসকাশন দিয়েছে। কিন্তু উনারা কথা রাখেন নাই। আবারো আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ০৯/০২/২০২৫ তারিখে মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে নোট অব ডিসকাশন দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত বাস্তবায়নের কোন লক্ষন নেই। উল্টো গ্রেজুয়েট চিকিৎসকগন হুমকি দিয়েছে নোট অব ডিসকাশন যেন বাস্তবায়ন না হয়। বাস্তবায়ন হলে তারা কর্মবিরতি, কমপ্লিট শাটডাউন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অচল করে দিবেন যার নমুনা আপনারা বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে দেখতে পাচ্ছেন।
ডিপ্লোমা ডাক্তাররা বলেন, আমরা শংকিত এবং আতঙ্কিত। উনারা কর্তৃপক্ষের কাছে ৫ দফা দাবী পেশ করেছেন। সেখানে উল্লেখ্যযোগ্য হলোঃ ১. ম্যাটস শিক্ষা কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করে দিতে হবে ২. তাদের কোন ধরনের নিয়োগ পদোন্নতি দেওয়া যাবেনা ৩. তাদের পদ উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদাবনতি করে মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট করা যা চরম অবমাননাকর ৪. স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে ডিপ্লোমা চিকিৎসকগন কোন সেবা দিতে পারবেন না ৫. এছাড়া তারা সাড়ে ৪ বছরের কোর্স কারিকুলামকে ৬ মাসের কোর্স কারিকুলাম বলে অপপ্রচার করছে যা মিথ্যাচারের চরম বহিঃপ্রকাশ। তারা প্রচার করয়েছে ম্যাটস কারিকুলাম, ইন্টার্নি
এবং বিএমডিসি নিবন্ধন নাকি সৈরাচার সরকারের আমলে হয়েছে তাই সব বন্ধ করে দিতে হবে। এটা চরম দৃষ্টতা। অথচ ১৯৭৩ সালের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আলোকে ১৯৭৬ সালে ম্যাটস শিক্ষাব্যবস্থার প্রচলন, ১৯৬০ সালের বিএমডিসি আইনে প্রথম নিবন্ধন শুরু, ১৯৮৫ সালের রাষ্ট্রপতির প্রজ্ঞাপনে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদের সৃষ্টি। এতসব দালিলিক প্রমান থাকা স্বত্বেও তাদের মিথ্যাচার থামছেনা। কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। বরং তাদেরকে মাঠে নামিয়ে আমাদের ন্যায্য দাবী নস্যায় করা হচ্ছে।
এই শাখার চরমভাবে বঞ্চিত, অপমানিত এবং তথ্য সন্ত্রাসের শিকার। এরা কর্তৃপক্ষ ও গ্রেজুয়েট চিকিৎসকদের দানাতে চাই অবিলম্বে আমাদের ন্যায্য দাবীদাওয়া মেনে নিতে হবে, সবধরনের তথ্য সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে। না হয় পরিস্থিতির অবনতির দায় কর্তৃপক্ষ এবং গ্রেজুয়েট চিকিৎসকদের নিতে হবে। স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও সিন্ডিকেট মুক্ত স্বাস্থ্য সংস্কার করা সময়ের দাবী। চক্রান্তকারীদের হুশিয়ার করে দিতে চাই, আপনাদের কুটকৌশল চলতে থাকলে আপামর জনসাধারণ আপনাদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বে। কৌশলে পকেট ভারী করার গোপন ষড়যন্ত্র, গরীব মানুষের চিকিৎসার ব্যায় বাড়ানোর চক্রান্ত, রোগীদের বিদেশমুখী করা চক্রান্ত কোন ভাবেই সফল হতে দেওয়া হবেনা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button