খেলা

ক্রিকেটে তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত

ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্তর নাম ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবি কার্যালয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চোখে সমস্যার কারনে সাকিব আল হাসানকে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চিয়তা থাকায় অধিনায়ক হবার দৌড়ে প্রথম পছন্দের তালিকায় ছিলেন শান্ত। পাশাপাশি দলের নেতৃত্বে থাকতে রাজি ছিলেন না সাকিব।
শান্তকে এক বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি এবং যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন।
পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে আগামী মার্চে ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিপাক্ষীক সিরিজটি প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট হতে যাচ্ছে শান্তর।
পাপন বলেন, ‘আমরা অধিনায়কত্ব নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। দীর্ঘ আলোচনার পর এ বছরের জন্য তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে শান্তকে নির্বাচিত করেছি।’
নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ও অ্যাওয়ে সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শান্ত।
শান্তর নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মত ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ। এমনকি ঘরের মাঠে কিউইদের বিপক্ষ প্রথম টেস্ট জয়েরও স্বাদ পায়  টাইগাররা।  সিরিজে অধিনায়ক হিসেব  প্রশংসাও কুড়িয়েছেন শান্ত।
সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে এখন পর্যন্ত তিন ফরম্যাটে ১১টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শান্ত। এরমধ্যে ২০২৩ বিশ্বকাপে সাকিবের ইনজুরির কারনে দু’টি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। শান্তর অধীনে ছয়টি ওয়ানডের মধ্যে পাঁচটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। তিনটি টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের দায়িত্ব পালন করেছেন শান্ত। এরমধ্যে ১টি করে জয়-হার ও পরিত্যক্ত ম্যাচ ছিলো। গত বছর তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৬৫০ রান করেন শান্ত। এছাড়া দু’টি টেস্টে দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। এরমধ্যে ১টিতে জয় ও হারের স্বাদ পায় টাইগাররা।
গত বছর পাঁচটি সেঞ্চুরি করেন শান্ত। যা এক বছরে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
অন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব পালন শেষে  শান্ত বলেছিলেন, দায়িত্ব দেয়া হলে  অধিনায়কত্ব করতে  প্রস্তুত তিনি।
প্রথমে ২০০৯ সালে অধিনায়কের দায়িত্ব পান সাকিব। কিন্তু দুই বছর পর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে মাশরাফি বিন মর্তুজা অবসর নিলে আবারও এই ফরম্যাটে অধিনায়ক হন সাকিব। ঐ বছর টেস্ট অধিনায়কত্ব পাবার পর আইসিসি কর্তৃক এক বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞার কারনে নেতৃত্ব হারান সাকিব।
২০২২ সালের জুনে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পান সাকিব। পরে টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক হন তিনি। গত বছরের আগস্টে তামিম ইকবাল ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাাঁড়ালে বাংলাদেশের সব ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয় সাকিবকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button