কেশবপুরে পানির চাপে বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়েছে ২২০ বিঘা বোরো ধানের ক্ষেত
যশোরের কেশবপুরের বিল বুড়ুলিয়ায় মাছের ঘেরের বেড়ি ভেঙ্গে কৃষকের রোপণকৃত বোরো ধানের ক্ষেতসহ ২২০ বিঘা জমি তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
রোববার রাতে উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের বুড়ুলি খালের পানির চাপে মেজবা উদ্দিন মিল্টনের ওই মাছের ঘেরের বেড়ি ভেঙ্গে পানি ঢুকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ কারণে ওই বিলে এবার বোরো আবাদ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
এলাকাবাসী জানায়, বোরো ধান আবাদ করার লক্ষে উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাছের ঘেরের পানি সেচ দিয়ে বুড়ুলি খালে ফেলা হচ্ছিল। কিন্তু ওই খাল দিয়ে পানি ঠিকভাবে প্রবাহিত না হতে পেরে রোববার রাতে খাল সংলগ্ন মেজবা উদ্দিন মিল্টনের মাছের ঘেরের বেড়ি ভেঙ্গে জমিতে পানি ঢুকে পড়ে। এতে কৃষকের প্রায় ৪০ বিঘা রোপণকৃত বোরো ধানের খেতসহ প্রায় ২২০ বিঘা জমি তলিয়ে গেছে। ওই বিলের অধিকাংশ কৃষক বোরো আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করেছিলেন। পানিতে জমি তলিয়ে যাওয়ায় একমাত্র ফসল বোরো আবাদ করা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে কৃষকেরা।
ওই বিলে বোরো আবাদ করা উপজেলার সারুটিয়া গ্রামের কৃষক নাজমুল হোসেন বলেন, বুড়ুলি বিলে তার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আবাদ করা বোরো ধান পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে। এ পানি নিষ্কাশিত না হলে ক্ষেতে এবার ফসল আর হবে না।
বিলের কৃষক সারুটিয়া গ্রামের মিন্টু সরদার বলেন, ওই বিলে ২ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদের জন্য ক্ষেত প্রস্তুত করা হয়েছিল কিন্তু সেটা তলিয়ে যাওয়ায় এখন চরম বিপাকে পড়েছি।
মাছের ঘেরের মালিক মেজবা উদ্দীন মিল্টন বলেন, বুড়ুলি খালে সেচকৃত পানির চাপে তার মাছের ঘেরের বেড়ি ভেঙ্গে বিলের ভেতর পানি ঢুকে পড়েছে। এতে কৃষকের রোপণকৃত বোরো ধান খেতসহ ২২০ বিঘা জমি তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া বেড়ি ভেঙ্গে যাওয়ায় বিলের ক্যানেলে থাকা মাছ বের হয়ে তার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনজুর রহমান বলেন, ওই বিলে ২২০ বিঘা জমির ভেতর প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে কৃষকেরা বোরো আবাদ করেছিলেন। বিল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জি এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ওই বিলের কৃষকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। পানির নিচে ৩/৪ দিন ধানের চারা থাকলে ধান গাছ নষ্ট হয়ে যাবে। এতে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, এ বিষয়ে শুনেছি। ঘের মালিকের সঙ্গে কথা বলে অতিদ্রুত তাকে পানি সেচের উদ্যোগ নিতে বলা হবে। যাতে কৃষকেরা ওই বিলে বোরো আবাদ করতে পারেন।