যশোর মেডিকেলের ৩৫ কর্মচারীর নিয়োগ জটিলতায় বেতন বন্ধ
যশোর মেডিকেল কলেজে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগকৃত ৩৫ জন কর্মচারী গত সাত মাস বেতন পাচ্ছেন না। নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা ও কলেজের উন্নয়ন ফান্ড সংকটের কারণে তারা বেতন পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রশাসন বলছে, ৩৫ জনের মধ্যে সম্প্রতি ১৭ জন উন্নয়ন খাতে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। ফান্ডে পর্যাপ্ত অর্থ ছাড় হলে তাদের বেতন দেয়া হবে।
জানা গেছে, চার বছর আগে সরকার আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে যশোর মেডিকেল কলেজে ৬৫ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ পায়। যার ঠিকাদারের দায়িত্বে রয়েছেন ফিরোজ আলম। এর মধ্যে গেল বছরের জুলাই থেকে ৩০ জনকে রাজস্ব খাতে যুক্ত করা হয়। আর বাকি ৩৫ জনকে উন্নয়ন ফান্ডে অর্থ না থাকার কারণে বাদ দেয়া হয়। কিন্তু কলেজে কর্মচারী সংকট দেখা দিলে বাদ দেয়া ৩৫ জনের মধ্যে ১৭ জনকে উন্নয়ন খাতভুক্ত করা হয়।
বাকি ১৮ জনকে বলা হয় আগামী রাজস্বকরণ সময়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খাতভুক্ত করা হবে। কলেজ অধ্যক্ষের এমন প্রস্তাবে ওই ১৮ জন কাজ করছেন। সব মিলিয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত ১৭ আর বাতিল হওয়ার পরও কাজ করা ১৮ জনসহ ৩৫ জন গত সাত মাস বেতন পাচ্ছেন না।
কলেজের একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন, তারা নিয়মিত কাজ করলেও গত সাত মাস বেতন পাচ্ছেন না। এতে পরিবার নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন পার করছেন। আর মাত্র কয়েকদিন পর রমজান। ঠিকাদারকে বারবার তাগাদা দেয়া হলেও আমলে নিচ্ছেন না।
যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান বলেন, ৩৫ জন কর্মচারী বেতন পাচ্ছেন না। তাদের মধ্যে ১৭ জনকে উন্নয়ন খাতভুক্ত করার অনুমতি পাওয়া গেছে। বাকি ১৮ জনকে বাতিল করা হয়। কিন্তু অনেক দিন ধরে তারা কাজ করছেন। অনুমতি মিললে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদেরও বেতন দেয়া হবে। আপাতত যে ১৭ জনের উন্নয়ন খাত থেকে বেতন দেয়ার অনুমতি মিলেছে; তাদের দুই মাসের বেতন ওই ১৮ জনের মাঝে বণ্টন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।