ঢাকা, ১৩ মার্চ, ২০২৪ (বাসস) : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক কোন সংকট নেই। আর জাতির সামনে এমন কোনো সংকটও নেই, যার জন্য রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সংলাপের কোনো আবশ্যকতা বা প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছর পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদের অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বর্তমান সরকার জন-আকাঙ্খাকে ধারণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দেশব্যাপী স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য হলো দেশ বিরোধী অপশক্তির নানামুখী অপতৎপরতা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত এবং প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে দেশের উন্নয়ন অভিযাত্রাকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তিনি বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ অবিবেচনাপ্রসূত ও অযৌক্তিকভাবে মিডিয়ার সামনে সংলাপের মাধ্যমে আলাপ-আলোচনার বিষয়টি উত্থাপন করছে। রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের ভারে বিধ্বস্ত জনবিচ্ছিন্ন বিএনপির এই আলোচনার আবদার অর্থহীন। কারণ তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক রীতি-নীতির তোয়াক্কা না করে ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ে মেতে উঠেছিল। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুসংহত রাখার লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিএনপিকে আলোচনার জন্য আহ্বান করা হলেও তখন তারা সাড়া দেয়নি। বরং তারা নির্বাচন বানচালের জন্য সর্বাত্মক অপচেষ্টা চালিয়েছিল। আজ তারা কোনমুখে আলোচনার কথা বলে?
বিএনপি সব সময় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের শর্তযুক্ত সংলাপের দাবী করে আসছে-উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এমনকি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেও এই দাবীতে তারা সরকার পতনের তথাকথিত এক-দফার আন্দোলনের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল। আমরাও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে আসছি, শর্তযুক্ত কোনো আলোচনার সুযোগ নেই। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আলাপ-আলোচনার জন্য বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন। সেই ফোনালাপে বেগম জিয়া বিদ্বেষপূর্ণ হিংস্র আচরণ করেছিলেন। একইভাবে খালেদা জিয়ার পুত্র কোকোর মৃত্যুর পর বিএনপি নেত্রীর বাড়ির গেট থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক শিষ্ঠাচারকে চরমভাবে লঙ্ঘন করেছিল।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময়ই গণতন্ত্রের সুষ্ঠু বিকাশ এবং উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আওয়ামী লীগ শুধু একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে নয়, বরং দেশের গণতন্ত্রকে একটি শক্তিশালী ভীতের উপর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনো কোনো ষড়যন্ত্র বা চাপের মুখে জনস্বার্থকে জলাঞ্জলি দেয়নি- কখনো কারও কাছে মাথা নত করেনি- করবেও না।