বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না : চসিক মেয়র
চট্টগ্রাম, ১৭ মার্চ ২০২৪ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না।
রোববার (১৭ মার্চ) জাতির পিতার ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিণত হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিতে। তার জন্ম না হলে এই জাতিকে এক করে যুদ্ধের ময়দানে নেয়া যেত না। বঙ্গবন্ধুর জন্মের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনার জন্ম বাস্তবে রূপায়নের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে ছোট করে দেখাতে ইতিহাস বিকৃতির অনেক অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু, ইতিহাস তার আপন গতিতে উদ্ভাসিত হয়েছে। এজন্য শিশুদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে হবে, তাদের গড়তে হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে রাখতে হবে বিতর্কের ঊর্ধ্বে।
শিশুদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে লালনের আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, আজকের শিশুরাই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে। তোমাদের নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। তোমাদের হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত লড়াই সম্পন্ন হবে, গড়ে উঠবে স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা।
সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমরা শিশু দিবস পালন করছি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে শিশুবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে চাই।
বেলুন উড়িয়ে ও বিভিন্ন স্কুলের শিশু-কিশোরদের নিয়ে কেক কেটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
রোববার (১৭ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে শুরু হয় দিনের কার্যক্রম। এরপর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বেলুন উড়িয়ে ও কেট কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, পুলিশের ডিআইজি নূরে আলম মিনা এবং জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে জেলা প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন দফতর, অধিদফতরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।