ভাগিনাকে ফাঁসাতে নিজ ছেলেকে লুকিয়ে রেখে অপহরণ মামলা অতঃপর সিআইডি
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের কিশোর বয়সী ছেলেকে লুকিয়ে রেখে অপহরণ মামলা দায়ের করেছিলেন খাগড়াছড়ির এক ব্যক্তি। সিআইডি পুলিশ ভুক্তভোগী কিশোরকে উদ্ধার করার পর এই ঘটনার আসল তথ্য জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়িতে।
অপহরণের ২ বছর পর খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানার ভিকটিম মকবুল হোসেন (১৭) কে চেঙ্গুছড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে খাগড়াছড়ি জেলার অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
উদ্ধারকৃত ভিকটিম মানিকছড়ি থানার ৪নং তিনটহরী ইউনিয়নের চেংগুছড়ি গ্রামের মো. আব্দুল খালেকের ছেলে।
খাগড়াছড়ি সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর
মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, খাগড়াছড়ি জেলার একটি সিআর মামলায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ২৫ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টায় মানিকছড়ি থানাধীন চেঙ্গুছড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণ মামলার ভিকটিমকে দীর্ঘ দুই বছর পর উদ্ধার করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতে ভিকটিমকে উপস্থাপন করলে আদালত ভিকটিমের জবানবন্দী গ্রহণ করেন।
এতে জানা যায় এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আপন ভাগিনা গ্রাম পুলিশকে ফাঁসাতে নিজ ছেলেকে রাঙ্গামাটি জেলাধীন বরকল থানা এলাকার হরিণা নামক স্থানে লুকিয়ে রেখে অপহরণ মামলা সাজিয়ে ছিলেন ভিকটিমের পিতা আব্দুল খালেক।
জানা যায়, ২০২৩ সালের শুরুতেই মানিকছড়ি থানার তিনটহরী ইউনিয়নের চেংগুছড়ি গ্রাম থেকে মো. আব্দুল খালেকের ছেলে মকবুল হোসেন (১৭) নিখোঁজ হয় বলে জানান।
পরে মকবুলের মামা মো. আব্দুল খালেক (৭৪) বাদি হয়ে খাগড়াছড়ি আদালতে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।