মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ২ আসামির পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য শেষ : যুক্তিতর্ক ২৪ জুলাই
ঢাকা, ৯ মে ২০২৪(বাসস) : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আনা মামলায় হবিগঞ্জের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপ মিয়াসহ দুই আসামির পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করা হয়েছে।
মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৪ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।
আসামিদের একজন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজানাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপ মিয়া। অন্যজন পলাতক মো. জামাল উদ্দিন আহম্মদ ওরফে মো. জামাল উদ্দিন।
ট্রাইব্যুনালের আসামিদের বিরুদ্ধে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। তার সাথে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও গাজী এম এইচ তামিম।
এ মামলায় আসামিপক্ষে ৫জন সাক্ষী সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালে।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন গণমাধ্যমকে আজ এ তথ্য জানান।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন তিনজন। এরমধ্যে গিয়াস উদ্দিন নামের এক আসামি মারা গেছেন। বাকি দুইজনের মধ্যে একজন আবুল খায়ের গোলাপ মিয়া গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ (আইও) প্রসিকিউশনের পক্ষে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। পরে আসামিপক্ষে (ডিফেন্সের) সাফাই সাক্ষী গ্রহন শুরু হয়।
২০১৮ সালের ১৩ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়। এরপর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে তাদের বিচার কাজ শুরু হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।