বিশেষ খবররাজনীতি

তিন কাঁচা রাস্তায় আটুলিয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে

যশোর প্রতিনিধি
স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে থেকেই এই তিন রাস্তা ছিল। কিন্ত আজো তা সেই অবহেলিত হয়েই পথচারীর দুর্ভোগ হিসাবে চিন্নিত। এই অবহেলার বাস্তবতার তিন রাস্তা যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের আটুলিয়া গ্রামের। এই গ্রামতো বটেই আসে পাশের গ্রামের মানুষেরও বেজায় দুর্ভোগ এই তিন রাস্তা। মাত্র পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার জন্য প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বহু বছর দুর্ভোগে পতিত হয়ে আছেন। এরা রাস্তা পাকার দাবিতে একমত।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের অসংখ্য স্মৃতির চিহ্ন রয়েছে। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের শত যুদ্ধ, এলাকাবাসীর স্বেচ্ছায় যুদ্ধে অংশগ্রহণ, এরপর স্বাধীনতায় বিজয় অর্জনের পর দীর্ঘ ৫৩ বছর অতিক্রম। কিন্তু সেই আদি মেটে রাস্তা এখনো রয়েছে। চওড়া রাস্তা জবর দখলে এখন সংকীর্ণ হয়েছে। রাস্তার মধ্যে ছোট ছোট গর্তে পানি জমে আছে। সেখানে মানুষের বদলে হাস সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাল পাল খেলা করে। পথচারীরা আশে পাশের বাড়ির মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে।
শ্রীচন্দ্রপুর পশ্চিম মোড় হতে আটুলিয়া উত্তরপাড়া জামতলা মোড় সড়কটি কাঁচা। আটুলিয়া ছাড়াও গুলবাকপুর, দত্তপাড়া, ব্যাংদাহ, ধুলিয়ানির মানুষ এই রাস্তা ব্যাবহার করে। ধুলিয়নী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কষ্ট আরো বেশি। তাদের রোদ, ঝড় বৃষ্টি সাথে নিয়ে ক্লাস করতে হয়।
বড় আটুলিয়া ওলির মোড় হতে জামতলা মোড় নওসের দফাদারের বাড়ি পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা এবং ভয়ঙ্কর দুর্ভোগের। পথচারীরা এই দুই রাস্তা পাকা করতে দীর্ঘদিন ধরে আশায় বসে আছেন।
মনসুর মোড়ল, বন্দে আলী মোড়ল ও হামিদ মোড়লের বাড়ি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ও তার সহযোগী মুক্তিযোদ্ধারা থাকতোন। এরা এই তিন রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন অপারেশনে যেমন যেতেন তেমনি ফিরতেন। ওদের অসংখ্য স্মৃতি এই এলাকা জুড়ে। কিন্ত তা উন্নয়নে কাজে লাগেনি।
আটুলিয়া গ্রামের বজলু ডাক্তারের ছেলে বিজেএমসির হিসাব রক্ষক কামরুজ্জামান বলেন, মাত্র ৮/১০ বছরের রাস্তা পাকা হয়েছে। কিন্তু এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পরও এই রাস্তা পাকা না হওয়া দুঃখজনক।
ইমামুল হক ও তার ছেলে রেজয়ান হোসেন বলেন আশে পাশের মানুষের একটাই দাবি এই রাস্তা পাকা হোক। আমাদের রাস্তা পাকার মানবিক দাবি এমপি মহোদয় বা চেয়ারম্যান মেম্বরের কাছে।
আনিছুর রহমান আন্তু, আমিনুর, বিল্লাল হোসেন বলেন, গুলবাকপুর পুর থেকে আটুলিয়ার রাস্তাও কাঁচা। এই তিন রাস্তার কারণে গ্রামটি অনেক পিছিয়ে।
আটুলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে লতা কলেজ শিক্ষক। তিনি গ্রামবাসির দুর্ভোগের কথা জানান। তার সাথে একমত জারাফাত। এরা সকলেই তিন রাস্তা পাকা করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি কামনা করেন।

রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তারা ঢাকায় নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রদূতদের আগমনের পর রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রদূতদের ‘অনার গার্ড’ প্রদান করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button