লন্ডন, ৪ জুলাই, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক):যুক্তরাজ্যে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হচ্ছে। চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
এবারে ৪০ হাজারেরও বেশি ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়াগ করবেন। ভোটাররা এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য হাউস অব কমন্সের ৬৫০ জনকে এমপি (পার্লামেন্ট সদস্য) নির্বাচিত করবেন।
ধারনা করা হচ্ছে এবারের নির্বাচনে কনজারভেটিভদের হারিয়ে বিরোধী লেবার পার্টি প্রায় দেড় দশক পর ক্ষমতায় ফিরে আসবে।
দেশটিতে ২০১৯ সালে বরিস জনসনের যুগান্তকারী বিজয়ের পর এবারই প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক (৪৪) গত ২২ মে নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগেই আকস্মিক এই আগাম নির্বাচনের ডাক দেন।
নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি, লেবার পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গ্রিন পার্টি, রিফর্ম পার্টি ও স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টিসহ অন্তত ৯৮টি রাজনৈতিক দল এই বারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
যুক্তরাজ্যে গত ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে কনজারভেটিভ দল। তবে এবারের নির্বাচনকে ঘিরে চালানো বিভিন্ন জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছে লেবার পার্টি।
জরিপে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ নির্বাচনে ঐতিহাসিক জনসমর্থন পেয়ে নির্বাচিত হতে চলেছেন লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টার্মার(৬১)। বিপরীতে, প্রায় ২শ’ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পেতে পারে ঋষি সুনাকের দল। অর্থ্যাৎ তার পরাজয় প্রায়ই নিশ্চিত।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক জরিপ সংস্থা ইউগভের সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ বলছে, পার্লামেন্টের ৬শ’ ৫০ আসনের মধ্যে ৪২২ থেকে ৪৫৬টি আসন পেতে পারে লেবার পার্টি। বিপরীতে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে কনজারভেটিভ পার্টি। নির্বাচনে তারা ৭২ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০টি আসনে জয়ের দেখা পেতে পারে, যা তাদের বর্তমান আসন সংখ্যা থেকে অনেক কম।
ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই গণনা শুরু হবে। নিয়ম অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দলকে সরকার গঠন ও দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানাবেন রাজা তৃতীয় চার্লস।
দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দল পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল হবে। আর দলটির নেতা প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা হবেন।
নির্বাচনে যদি কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন না পায়, তখন সেটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হবে। এই অবস্থায় তুলনামূলক সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দলটি অন্য দলের সঙ্গে জোট সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অথবা সংখ্যালঘু সরকার হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে পার্লামেন্টে কোনো আইন পাস করানোর জন্য অন্যান্য দলের ভোটের ওপর নির্ভর করতে হবে তাদের।