মানবতাবিরোধী অপরাধ: আট মন্ত্রীসহ ১৩ জন ট্রাইব্যুনালে হাজির
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক ৮ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে তাদের প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় ট্রাইব্যুনাল এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
যাদের হাজির করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন— সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান , উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রিসভার সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
রিমান্ডে থাকায় আব্দুর রাজ্জাককে হাজির করা হয়নি। অসুস্থ থাকায় শাজাহান খানকে প্রথমে আনা না হলেও পরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ২৭ অক্টোবর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আসামিদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন। হাজিরকৃতদের সঙ্গে তাদের আইনজীবী ও একজন স্বজন উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়।
প্রাথমিক শুনানির পর তদন্ত সংস্থা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বৃদ্ধির আবেদন জানাবে। প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে কিছু তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। প্রমাণ এবং নথিপত্র একত্র করে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার প্রক্রিয়া চলছে।
এতসংখ্যক ভিআইপি আসামি একসঙ্গে হাজির করায় ট্রাইব্যুনাল এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য। সাংবাদিকদের জন্য প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে এবং মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রসিকিউটর বলেন, “অতীতে বিচারিক অবিচারের ইতিহাস থাকলেও এবার সুবিচারের জন্য সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। গণহত্যার বিচারকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ মামলার মাধ্যমে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া নতুন ধাপে প্রবেশ করেছে।