পুলিশের ভাবমূর্তি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, আমাদের মূল কাজ হচ্ছে মানুষকে সেবা দেয়া। এদেশের মানুষের জন্য ইতিবাচক কাজ করে পুলিশের ভাবমূর্তি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে। সব কষ্ট ভুলে গিয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকালে মিরপুরে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের (পিওএম) শহীদ এসআই শাহজাহান মিলনায়তনে আয়োজিত কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এদেশ আপনার, আমার, সকলের। সবকিছু ছেড়ে আমাদের চলে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমাদেরকে আবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এদেশের মানুষকে সেবা দিতে হবে। তাই সব কষ্ট ভুলে গিয়ে এদেশের মানুষের জন্য কাজ করে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষের সেবায় প্রতিটি কাজই পেশাদারিত্বের সাথে করতে হবে। প্রভাবমুক্ত থেকে পেশাদারিত্বের সাথে কাজের মাধ্যমে জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।
কল্যাণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুলিশ যেভাবে ভেঙ্গে পড়েছিল সেখান থেকে পুলিশের পুনর্গঠন এবং আপনাদের দায়-দায়িত্ব পালন করা সত্যিই দুরুহ কাজ ছিল। সেই পরিস্থিতি আস্তে আস্তে কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। নিজেদের ও পুলিশ বাহিনীর স্বার্থে যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। প্রত্যাশা থাকবে আমরা যেন একসাথে কাজ করে ডিএমপিকে আরও আধুনিক, গতিশীল ও জনগণের আস্থার জায়গায় পরিণত করতে পারি।
মিরপুরে অবস্থিত ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) বিভাগে কর্মরত সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে পরিচিত হতে ও তাদের সুবিধা-অসুবিধা এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের কথা শুনতে এ কল্যাণ সভার আয়োজন করা হয়।
কল্যাণ সভায় পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু বক্তব্য ডিএমপি কমিশনারের কাছে তুলে ধরেন।
কমিশনার সকলের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন ও কিছু বিষয়ে তাৎক্ষণিক সমাধান প্রদান করেন এবং অন্যান্য বিষয়সমূহ দ্রুত সমাধানে সকলকে আশ্বস্ত করেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে কল্যাণ সভা শুরু করা হয়। এরপর উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের নিয়ে গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন ডিএমপি কমিশনার। পরে সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য মোনাজাত করা হয়।
কল্যাণ সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (পিওএম) খন্দকার ফরিদুল ইসলাম। সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান পিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ; উপ-পুলিশ কমিশনারগণসহ ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।