বিশেষ খবর

সালমান এফ রহমান-মামুনসহ চারজন রিমান্ডে

 

ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার আসিফ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এদিন কারাগার থেকে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ আলতাফ হোসাইন তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কিরণ-সৈকত চার দিনের রিমান্ডে :

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আসাদুর রহমান কিরণ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানার মামুন হত্যাচেষ্টা মামলায় কিরণ ও ধানমন্ডি থানার রিয়াজ হত্যায় মামলায় সৈকতের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।

আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানার মামলায় কিরণ ও ধানমন্ডি থানার মামলায় সৈকতের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেন।

আসিফ হত্যা মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুর থানাধীন এলাকায় গত ১৯ জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন আসিফ। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হলে সহযোদ্ধারা তাঁকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন তিনি মারা যান। এঘটনায় গত ১ নভেম্বর মিরপুর থানায় ২২ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়। এ মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ৪ ও সালমান এফ রহমান ৭ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি।

গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে মামুনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গত ১৮ নভেম্বর রাতে যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে আসাদুর রহমান কিরণকে গ্রেফতার করে বিজিবি। গত ১৪ আগস্ট রাজধানীর নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারের পর তাদের একাধিক মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। এছাড়া তাকে একাধিক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button