দেশি খেজুর গাছের জাত উন্নয়ন’ বাগান বে-দখল
মালিকুজ্জামান কাকা
দেশের একমাত্র দেশি খেজুর গাছের জাত উন্নয়ন গবেষণা ক্ষেত্রটি দখল করে নিয়েছে এক ভূমিদস্যু। এরইমধ্যে বাগানের বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। নাগর ঘোপের এই ঘটনা সাড়া ফেলেছে।
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার নাগরঘোপ গ্রামে জেলা প্রশাসনের দেওয়া জমিতে খেজুর গাছের চারা লাগিয়ে গবেষণা করছিলেন গবেষক সৈয়দ নকীব মাহমুদ ফুয়াদ। বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে ওই বাগানের কিছু গাছ মরে গিয়েছিল। বাকি গাছগুলো বেঁচে ছিল। কিন্তু স্থানীয় সুবল অধিকারী জমিটি তার বলে দাবি করে দখল করে নিয়েছেন। তিনি তার লোকজন নিয়ে বেশ কিছু জীবিত ও মৃত গাছ কেটে ফেলেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সৈয়দ নকীব মাহমুদ প্রায় ১০ বছর ধরে দেশি খেজুর গাছ নিয়ে গবেষণা করছেন। বিষয়টি জানার পর ২০২১ সালের ২১ মার্চ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় এখানে খেজুর বাগান করার সিদ্ধান্ত নেয় যশোর জেলা প্রশাসন। এজন্য সাত সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয় জেলা প্রশাসন থেকে। এরপর ওই জমিতে প্রায় ১২০টি দেশি জাতের খেজুর গাছের চারা লাগানো হয়।
যশোরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা গাছের চারা লাগিয়ে উদ্বোধন করেন। মাত্র কয়েক বছরে চারাগুলো লকলকিয়ে বড় হচ্ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে ভবদহ অঞ্চলের টানা জলাবদ্ধতায় কিছু গাছ মারা যায়। চলতি সপ্তাহে উপজেলার নাগরঘোপ গ্রামের সুবল অধিকারী ওই বাগানের গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন। তিনি খেজুর গাছের চারাগুলো কেটে ফেলে জমি নিজের বলে দাবি করছেন।
সুবল অধিকারীর দাবি, ওই জমি তার পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত। পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৭৯ সালে তাদের তিন শরিকের ৮২ শতক জমি অধিগ্রহণ করে কাজ করছিল। সেখানে তিন শতকের ওপর একটি ইটের ঘর নির্মাণ করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। ১৯৯২ সালে ভূমি রেকর্ডের সময় তিন শতক জমি সরকারের অনুকূলে রেকর্ড হয়। বাকি জমি তাদের। এরমধ্যে ২৭ শতক জমি তার নিজের নামে। তাই তিনি জমি দখল করেছেন। তবে তিনি কোন প্রমান দেখাননি।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না বলেন, ‘শুনেছি খেজুর বাগানের চারাগাছগুলো নষ্ট করে এক ব্যক্তি নিজের জমি দাবি করে দখল করে নিয়েছেন। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’