চট্টগ্রামশীর্ষ নিউজ

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসণের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম বিষয়ক প্রেস বিজ্ঞপ্তি

১।  গত ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ তারিখ চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব ফাওজুল কবির খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মহোদয়বৃন্দের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে অনুষ্ঠিত হওয়া মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উক্ত সিদ্ধান্ত সমূহের আলোকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন কর্ণফূলী নদী সংলগ্ন বিভিন্ন খালের অংশে ড্রেজিং এর মাধ্যমে নাব্যতা বৃদ্ধি ও বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশেষ করে রাজাখালী খাল, চাক্তাই খাল সহ চট্টগ্রাম শহর হতে কর্ণফুলী নদীর সাথে যুক্ত হওয়া বিভিন্ন খাল ও নালার মুখে ভেসে আসা প্লাস্টিক/ অপচনশীল বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে খালসমূহের পানি প্রবাহ ঠিক রাখার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

২। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দীঘদিন যাবৎ সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগ এবং অর্থায়নে কর্ণফূলী নদীর মূল চ্যানেলে ড্রেজিং এর পাশাপাশি আওতাধীন খালসমূহের বর্জ্য অপসারণ করে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে। এজন্য চবকের নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধ্যমে একটি প্রকল্প অত্যন্ত সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

৩।      ইতোমধ্যে প্রকল্পের আওতায় ৫৫ লক্ষ ঘনমিটার ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী জুন ২০২৫ এ প্রকল্পটি শেষ হবে। এমতাবস্থায়, বর্তমানে চালু থাকা প্রকল্পটি শেষ হবার পরেও নগরবাসীর জীবনযাত্রা স্বস্তিময় করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এধরণের কার্যক্রম নিয়মিত চালু থাকবে বলে আশা করা যায়। তবে এক্ষেত্রে মূল সমস্যা সম্পূর্ণ খালের ভিতর নিহিত, যা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এখতিয়ার বহির্ভূত। নগরবাসীর ফেলা বিভিন্ন প্রকারের বর্জ্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খালসমূহকে নিয়মিত পরিষ্কার না রাখলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত এসকল কার্যক্রমের সম্পূর্ণ সুফল নগরবাসী পাবেনা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বর্তমানে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হতে প্রেরিত ২টি কাটার সাকশান ড্রেজার এর পাশাপাশি চবক এর নিজস্ব ফ্লিটের একটি এম্পিবিয়াস ড্রেজার এবং একটি বর্জ্য অপসারণকারী জাহাজ বে ক্লিনার-১ কে প্রকল্প এলাকায় মোতায়েন করে নগরবাসির দূর্ভোগ লাঘবের আন্তরিক চেষ্টা করছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই খালের মুখে পানি প্রবাহ বৃদ্ধির কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।

৪।   চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এ সকল কর্মকান্ডের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত উদ্যোগে বর্জ্য নদী/ নালা/ খাল/ ড্রেন ইত্যাদিতে ফেলা থেকে বিরত থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button