শীর্ষ নিউজ

কর্ণফুলীর ৫ ডিজিটাল সেন্টার সেবা নয়, টাকার মেশিনে পরিণত, ইউএনও-এসিল্যাণ্ডের নীরবতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং প্রশাসক হিসেবে ইউএনও ও এসিল্যাণ্ডকে দায়িত্ব দেওয়ার পর গত ৬ মাসে জন্ম নিবন্ধনসহ সনদপত্র বিতরণে প্রায় ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে দাবি ইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্টদের। তবে তাঁরা প্রকাশ্যে এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
এতে সরকারি ফি’র বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠলেও, সরকারি কোষাগারে ফি বাবদ কত টাকা জমা দেওয়া হয়েছে, তাঁর সঠিক তথ্য দিতে রাজি হননি পরিষদে নিযুক্ত প্রশাসক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। অথচ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে লিখিত ভাবে এসিল্যাণ্ডকে জানিয়েছেন নিবন্ধক কর্মকর্তারা। কিন্তু রহস্যজনক ভাবে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় প্রশাসকদের।
অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সাবেক সচিব), ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা, উপ-উদ্যোক্তা ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা (চৌকিদার) জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে। এদের পেছনে আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা হিসেবে ইউএনও-এসিল্যাণ্ডের নামসহ একাধিক কর্মকর্তার নামও উঠে আসলেও তাঁরা এসব অভিযোগ সর্বৈব অস্বীকার করেছেন।
গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ও শিকলবাহা ইউনিয়নের প্রশাসনিক দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত।
অন্যদিকে, জুলধা, বড়উঠান ও চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরা। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন রাসেল, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দ্বিজেন ধর, সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা আমাতুল্লাহ আরজু, উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সবুর আলী।
পাঁচ ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছেন তুহিন, মিঠুন, জনি, হোসেন ও লিজা নামে চার যুবক ও এক তরুণী। তাঁদের নির্ধারিত বেতন না থাকলেও, সার্ভিস চার্জের নামে দৈনিক গড়ে ১০ হাজার টাকা আয় করার অভিযোগ রয়েছে। ধারণা মতে, মাসিক হিসাবে এ আয় দাঁড়ায় জনপ্রতি ৩ লাখ টাকা এবং বার্ষিক ৩৬ লাখ টাকা। যদিও এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন উদ্যোক্তাদের মাসিক বেতনে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করেছেন স্থানীয়রা।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ইউএনও মাসুমা জান্নাত ইউনিয়ন সেবা সপ্তাহে একদিনের তথ্য প্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজে। এতে দেখা যায়, চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে একদিনে ২৪৮টি সনদ বিতরণ করেছিলেন। যার মধ্যে ওয়ারিশ সনদ ২১টি, নাগরিক সনদ ও প্রত্যয়ন ৫৫ টি, ট্রেড লাইসেন্স ১৫ টি, জন্ম নিবন্ধন ১৫০ টি, মৃত্যু নিবন্ধন ৭ টি। এমনও হতে পারে একই ব্যক্তি আবার একাধিক সেবা গ্রহণ করেছেন।
সে হিসাবে ধরলে গত ৫ মাস ১৮ দিনে (১৭১ দিন) পাঁচ ইউনিয়নে দৈনিক গড়ে ১ হাজার জন সেবা গ্রহণ করেছেন বলে ধারণা করা যায়। একজন সেবাপ্রার্থী যদি পরিষদে ন্যূনতম ১৫০ টাকা খরচ করেন, তাহলে দৈনিক লেনদেন হয়েছে পাঁচ ইউনিয়নে ১.৫ লাখ টাকা। শুক্র-শনি বাদ দিলে ১২২ কার্যদিবসে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। তবে সরকারি কোষাগারে কত টাকা জমা পড়েছে, তার কোনো সঠিক তথ্য নেই।
স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন-২০০৯-এর অস্পষ্টতার সুযোগ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদগুলো নাগরিক সনদ, চারিত্রিক সনদ, জন্মনিবন্ধন, প্রত্যয়ন, চারিত্রিক, ভূমিহীন সনদ, মৃত্যুনিবন্ধন ও ওয়ারিশ সনদ পেতে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারি ফি নির্ধারণ থাকলেও, রশিদ ছাড়া অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ঘটনা ঘটছে।
উদাহরণস্বরূপ, জন্মনিবন্ধনের সরকারি ফি ৫০ টাকা হলেও, স্থানীয়রা ১৫০ থেকে ৩০০-৫০০-৭০০ টাকা পর্যন্ত দিতে বাধ্য হচ্ছেন। অন্যান্য সনদে আরো কম বেশি। এক্ষেত্রে আবার কর্ণফুলীর পাঁচ ইউনিয়নে জন্মনিবন্ধনে উদ্যোক্তারা আবেদনে কৌশলে ভুল রেখে পরবর্তী সময়ে সংশোধনের নামে সুবিধা নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি গেজেটে ফি’র তালিকায় দেখা যায়, জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ দিন পর্যন্ত বিনা ফি’তে দেশে বিদেশে ফ্রিতে সনদ,  ৪৫দিন হতে ৫ বছর পর্যন্ত দেশে ২৫ টাকা বিদেশে ১ মার্কিন ডলার, ৫ বছরের মধ্যে কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন সাকুল্যে দেশে ৫০ টাকা ও বিদেশে ১ মার্কিন ডলার, জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন ফি দেশে ১০০ টাকা ও বিদেশে ২ মার্কিন ডলার, জন্ম তারিখ ব্যতীত নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফি দেশে ৫০ টাকা ও বিদেশে ১ মার্কিন ডলার। বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষায় সনদ দেশে বিদেশে বিনা ফি’তে, সনদের নকল সংগ্রহ দেশে ৫০ টাকা বিদেশে ১ মার্কিন ডলার।
অনলাইনে একাধিক জন্মনিবন্ধন থাকলে আগে প্রথমটি রেখে বাকিগুলো বাতিল করা হতো। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ব্যক্তি তাঁর সুবিধামতো একটি রেখে অন্যগুলো বাতিল করতে পারবেন, তবে এজন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
গত ৫ জুলাই এ বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়। নতুন নিয়মে বিডিআরআইএস সফটওয়্যারে অপ্রয়োজনীয় সনদ বাতিলের অপশন চালু হয়েছে। রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. যাহিদ হোসেন জানান, যে সনদটি প্রয়োজনীয় মনে হবে, সেটি রেখে বাকিগুলো বাতিল করা যাবে।
বড়উঠানের নাগরিক সেলিম চৌধুরী বলেন, ‘এ ইউনিয়নে জন্ম সনদ বা ট্রেড লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগবে, তার কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই। সচিব ও উদ্যোক্তাদের ইচ্ছামতো টাকা নিচ্ছেন। প্রশাসক জেনেও নীরব।’
চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্য নাম প্রকাশ না করে জানান, ‘ওয়ারিশ সনদের জন্য ২০০ টাকা, নাগরিক সনদের জন্য ৪০ টাকা এবং জন্মনিবন্ধনের জন্য ১৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে এসব টাকার কোনো রশিদ দেওয়া হয় না। চরলক্ষ্যা গ্রামের রুবেল জানান, ‘প্রতি জন্মনিবন্ধন কাগজ স্বাক্ষর করতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধক ২৫ টাকা করে নেন বলে খবর পেয়েছি। সনদে ইচ্ছে মতো। এসব বন্ধ করার দরকার।’
শিকলবাহার মোহাম্মদ কবির বলেন, ‘গ্রামের সাধারণ মানুষ পরিষদে গেলে সেবা তো দূরের কথা, সামান্য তথ্য পেতেও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ডিজিটাল সেন্টারে ডিজিটাল দুর্নীতি আরও বেড়ে গেছে।’
চরপাথরঘাটার প্রবাসী কামাল অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলের ডাবল জন্ম নিবন্ধনের একটি বাতিল করতে গেলে কৌশলে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন উদ্যোক্তা। একই অভিযোগ করেছেন চরপাথরঘাটার নাছির আহমদ, যিনি ভোটার হতে পারেননি কারণ তাঁর জন্ম নিবন্ধন বাতিল করা সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি বাকলিয়া শহীদ এম জে কলেজের শিক্ষার্থী বড়উঠানের ইফু বলেন, জন্ম নিবন্ধনের জন্য তাঁর কাছ থেকে ৩০০ টাকা নিয়েছেন।
স্থানীয় সরকার (ইউপি) আইন-২০০৯-এ সেবার মূল্য নির্ধারণ না থাকায় নাগরিকরা বিভিন্ন সনদের জন্য ৫০০ থেকে ২-৩ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে বাধ্য হন, তবে রশিদ দেওয়া হয় না। সরকার কেবল জন্মনিবন্ধনের ফি ৫০ টাকা নির্ধারণ করলেও অন্য সব সনদ ফ্রি বা নামমাত্র মূল্যে পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবে অনিয়মের কারণে জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী শিশুর মৌলিক অধিকার জন্মনিবন্ধন পেতেও ভোগান্তি পোহাতে হয়।
অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা, গ্রাম পুলিশ ও অন্যান্য কর্মচারীরা অতিরিক্ত টাকা ভাগ করে নিচ্ছেন। এমনকি কর্ণফুলীতে রাত ১০টা-১১টা পর্যন্ত সরকারি অফিস খোলা রাখা কতটা বিধিসম্মত ও নিরাপদ, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বড়উঠান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশের সদস্য মনির উদ্দিন অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার ট্যাক্সের নামে জনগণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হলেও সেই অর্থের কোনো হিসাব তাদের জানা নেই।
তিনি বলেন, ‘পরে শুনেছি ইউএনও স্যার বড়উঠানের প্রতি বাড়ি থেকে ৩০০ টাকা করে নিতে বলেছেন। পরিষদ সচিবকে বললাম, আমরা তো কোনো টাকা পাই না, কিন্তু মানুষ তো বলছে চৌকিদার ট্যাক্স নিচ্ছে। তখন সচিব জানালেন, এ বিষয়ে কিছু পেতে হলে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত এসিল্যান্ডের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদে ট্যাক্স, রেট ও বিবিধ খাতে অনিয়মিতভাবে বিভিন্ন পরিমাণ অর্থ আদায় করা হচ্ছে, যা প্রতিটি পরিষদে ভিন্ন ভিন্ন হার অনুসরণ করা হয়।
শিকলবাহা ইউনিয়নের উদ্যোক্তা তুহিন বলেন, ‘পরিষদে কিছু না কিছু অনিয়ম হচ্ছে বলেই তো অভিযোগ ও অপপ্রচার চলছে। তবে আমি ২২ দিন পর পরিষদে গিয়েছি। শুধুমাত্র সার্ভিস চার্জ হিসেবে ২০-৫০ টাকা নিচ্ছি, বাকিরা কী করছে জানি না।’ অন্য উদ্যোক্তা হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি একাধিকবার ফোন কেটে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উদ্যোক্তা বলেন, ‘অনেক স্বপ্ন নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল উদ্যোক্তা হয়েছিলাম। সত্যি বলতে, মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু টাকা নেই, কিন্তু এই টাকা আমরা একা ভোগ করি না। উপজেলার কর্মকর্তাসহ অনেককেই এই টাকার ভাগ দিতে হয়। যা বলা যাবে না।”
চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধক, উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন রাসেল জানান, ‘আমরা কোনো ধরনের টাকা নিই না। পরিষদে উদ্যোক্তাদের একটা নিজস্ব ব্যবসা আগে থেকেই পরিষদে গড়ে উঠেছে, যা তারাই পরিচালনা করছে।’
এদিকে, জুলধা ইউনিয়নের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধক, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সবুর আলী বলেন, ‘উদ্যোক্তারা সার্ভিস চার্জের নামে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে—এটা জানতে পেরে আমি দুইবার উপজেলা মাসিক সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেছি। আমাদের নাম ব্যবহার করে জনগণের কাছ থেকে বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে বলেও জেনেছি। জনগণকে হয়রানি করুক তা আমরা চাই না।’
বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পক্ষজ দত্ত বলেন, ‘আমি সম্প্রতি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি এবং সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে জনসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রতিটি নাগরিকের সমস্যা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে তাদের যথাযথ সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু নানা অভিযোগ প্রতিদিন আমিও শুনতেছি।’
কর্ণফুলীতে প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা হারানো এক ইউপি চেয়ারম্যান হোয়াটসঅ্যাপে জানান, ‘জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সরকারি ফি ছাড়া কোনো অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হতো না। তবে বিভিন্ন সনদে ১০-২০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হতো। এখন সেটিও হচ্ছে কিনা জানি না। আপনারা খোঁজ নিন।’
তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে প্রশাসন কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা জানতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো বিষয় আমার চোখে পড়েনি। কারও অভিযোগ থাকলে তিনি সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।’ অথচ তাঁর পরিচালনাধীন এক পরিষদে সরকারি ফি’র ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৫ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি বলে লিখিতভাবে জানানো হয়। যার কপি প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এছাড়া মাসিক সভায়ও উত্থাপিত হলেও ইউএনও এসিল্যাণ্ডের নজরে পড়েনি।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাতের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের দাবি, তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে চলেন বলেই কানাঘুষা রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. নোমান হোসেন বলেন, ‘কর্ণফুলী উপজেলা পরিদর্শন করে বিষয়টি আমিও লক্ষ্য করেছি। পরে রশিদ ছাড়া লেনদেন বন্ধ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নীতিমালার বাইরে নাগরিক সেবা প্রদানে টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button