খেলাশীর্ষ নিউজ

পার্বত্য অঞ্চলের নারী খেলোয়াড়রা দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছেন: সুপ্রদীপ চাকমা

 

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলের নারী খেলোয়াড়রা অসাধারণ নৈপুণ্যতা দেখিয়ে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছেন।

তিনি বলেন, রুপনা চাকমা ও মনিকা চাকমাদের গোলে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল সাফ গেমস চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। খেলাধুলায় নবীন যারা আছ, তোমাদেরও সেরকম রূপনা চাকমা ও মনিকা চাকমার মতো প্রতিভাময়ী হতে হবে। তোমাদের খেলাধুলার মানকে উন্নত করতে কঠোর অনুশীলন করতে হবে।

আজ খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’- স্লোগানে তারুণ্যের উৎসব, ২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগ ২০২৫ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা একথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা জানানো হয়।

উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় খেলোয়াড়দের খেলার মান উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবো। ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ফুটবল ও ক্রিকেটে ঐতিহাসিক বিজয় আসুক এবং এর ঐতিহ্য ফুটে উঠুক এই কামনা করি।

পরে তিনি বেলুন উড়িয়ে টুর্নামেন্ট এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

পরে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা খাগড়াছড়ি সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক-বালিকা (অনূর্ধ্ব ১৭) ২০২৫ চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে খাগড়াছড়ি বালিকা অনূর্ধ্ব-১৭ দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করায় সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, খাগড়াছড়ি জেলার ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে সেরাদের সেরা হওয়ার জন্য সবাইকে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলায় কঠোর অনুশীলন করতে হবে। তোমাদেরকে বিভাগ থেকে ক্রমশ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হতে হবে।

গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বিভাগীয় পর্যায়ে খাগড়াছড়ি জেলার বিজয়ী খেলোয়াড়দের মাঝে এক লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন। উপদেষ্টা সকল খেলোয়াড়দের সাথে ফটোসেশন করেন।

বিকালে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা খাগড়াছড়ি জেলার কমলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নির্মিতব্য ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রীর হোস্টেল নির্মাণ প্রকল্প কাজ পরিদর্শন করেন। প্রকল্প কাজের অগ্রগতিতে উপদেষ্টা সন্তোষ প্রকাশ করেন।

পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ফুটবল ও ক্রিকেট খেলোয়াড়দের জন্য সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলতে কমলছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ছাত্র-ছাত্রীদের থাকার জন্য এই হোস্টেলটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

পরে উপদেষ্টা কমলছড়ি পাইলট পাড়া পার্বত্য বৌদ্ধ মিশন পরিদর্শন করেন। সেখানে কানাডিয়ান অর্থায়নে নির্মিত ১৫০ জন ছাত্রী থাকার উপযোগী ম্যাপল হাউস গার্লস হোস্টেল রয়েছে ।

এছাড়াও কোরিয়ার সিউলের অর্থায়নে নির্মিত আইসিটি ভবনও রয়েছে। সেখানকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে উপদেষ্টা মত বিনিময় করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি রুমানা আক্তার, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব) শুভাশিষ চাকমা, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button