কেশবপুরে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর-দখল
মালিকুজ্জামান কাকা
যশোরের কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদের পরিবারের ওপর জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলা, ভাংচুর ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে উপজেলার মধ্যকুল গ্রামে এi ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিবেশী রজব আলীর লোকজন সাংবাদিক পরিবারকে বাড়িছাড়া করে বসতবাড়ি দখল করেছে। বর্তমানে ভুক্তভোগী পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করে কেশবপুর থানায় অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক ফুয়াদের পিতা শহীদ উল্লাহ।
শহীদ উল্লাহর দাবি, ১৯৮৪ সালে তিনি ব্যাংকের চাকরির সময় প্রতিবেশী রজব আলীর কাছ থেকে ২০ শতক জমি ক্রয় করেন এবং সেখানে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন। পরবর্তীতে রজব আলী জমি দখলের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন, যা এখনো চলমান।
বৃহস্পতিবার সকালে রজব আলীর দুই ছেলে সবুজ হোসেন ও বিপ্লব হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জন সন্ত্রাসী বেআইনি জনতাবদ্ধে বাড়ির উঠানে এসে গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা বসতঘরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে বাড়ির বাইরে বের করে দেয়। ঘরের আলমারি, ফ্রিজ, আসবাবপত্র ভাংচুরের পাশাপাশি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও জরুরি কাগজপত্র লুট করে। পরে বাড়ির প্রধান ফটকে তালা মেরে দখলে নেয়।
যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় ও বহিরাগত প্রায় ২০০ জন লোক নিয়ে রজব আলীর ছেলে সবুজ হোসেন আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা আমাদের টেনে-হিঁচড়ে বের করে দেয়, মারধর করে এবং বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করে এবং প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি, তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও নীরব ভূমিকা পালন করেছে।
রজব আলীর ছেলে সবুজ হোসেনের দাবি, “আমাদের জমিটি আগে ব্যাংকে মর্টগেজ ছিল। শহীদ উল্লাহ প্রতারণার মাধ্যমে ওই জমি নিজের নামে লিখিয়ে নেয়। এতদিন আমরা অসহায় ছিলাম, তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আমাদের জমি বুঝে নিয়েছি। তবে কোনো হামলা বা ভাংচুর করা হয়নি।”
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, “জমি নিয়ে দুটি পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। যেহেতু আদালতে মামলা চলমান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।