রাজধানীর কলাবাগানে গ্রেফতারকৃত ৭ জন কারাগারে ও ৭ শিশুকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণ
৮ মার্চ, ২০২৫ (বাসস): রাজধানীর কলাবাগানে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারকৃত ১৪জনের মধ্যে সাতটি শিশু রয়েছে। গ্রেফতারকৃত সাতজনকে কারাগারে ও সাতশিশুকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ তাদের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় পর্যন্ত সাতজনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপর দিকে বাকি সাতশিশুকে গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমান এ আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন— সালাহউদ্দিন সালমান, সাইফুর রহমান রিয়েল খান (২১), সাজিদুল ইসলাম তাহমিদ (২০), শাহাদাত হোসেন (২০), মীর ফাহাদ আহমেদ উৎস (২৫), ছাব্বির আহম্মেদ আবির (১৯) ও ফারহান (২৫)।
যাদের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন— ইমন (১৫), পারভেজ হাওলাদার (১৬), হৃদয় হোসেন আকাশ (১৭), নাইম হাওলাদার (১৭), আরাফাত আহম্মেদ (১৪), রুবেল মিয়া (১৬) ও শেখ রাব্বি (১৪)।
পুলিশের ভাষ্যমতে, গতকাল দুপুরে ধানমণ্ডির রাসেল স্কয়ারে কাবিকো কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের অফিস সন্দেহে হামলা চালায় অভিযুক্তরা। এ সময় ৩ লাখ টাকা ও চারটি কম্পিউটার লুট করা হয় এবং অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়। আটকদের কাছ থেকে নগদ ৩১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পিয়ন বাদি হয়ে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, গতকাল ৭মার্চ পান্থপথের ত্রিধারা টাওয়ারের ৩য় তলায় কাবিকের কনস্ট্রাকশনে এজাহারনামীয় আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ থেকে সাতজন আসামি পরিকল্পিত ও দলবদ্ধভাবে শক্তির মহড়া ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক অফিস কক্ষে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ শুরু করে। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে আসামিরা বলেন, ‘যে তোর মালিক শেখ কবিরকে অফিস চালাতে হলে চাঁদা দিতে হবে।’ এসময় বাদি প্রতিবাদ করলে আসামিরা তৎক্ষণাৎ অফিসের চেয়ার, টেবিল ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং অফিসে থাকা চারটি ডেস্কটপ যার মূল্য ২ লাখ টাকা, অফিসের টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে নগদ ৩ লাখ টাকা লুট করে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। বাদির চিৎকারে আশপাশের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে বাদিকে উদ্ধার করে।