চট্টগ্রামশীর্ষ নিউজ

অপহরণের নাটক সাজিয়ে বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়িকে ফাঁসানোর অভিযোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা এলাকায় শহিদুল আলম জুয়েল (৩২) নামে এক যুবককে অপহরণের ঘটনায় বিএনপি নেতা ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম মঈন উদ্দিন এবং ব্যবসায়ী মির্জা মুহাম্মদ আজাদকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৯ মার্চ) বিকেলে উপজেলার মইজ্জ্যারটেক মোড়ে কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যারা হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছে, সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা ষড়যন্ত্র করে বিএনপি নেতা আলহাজ্ব এম মঈন উদ্দিন ও ব্যবসায়ী মির্জা মুহাম্মদ আজাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এর প্রতিবাদে শত শত নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমেছেন।’
ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ, সাবেক সদস্য মির্জা বাহার উদ্দিন, মো. ইসমাইল, মির্জা ইসমাইল মোহাম্মদ সাদাত, মোহাম্মদ আলী, কর্ণফুলী উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম, শ্রমিক দলের সভাপতি মো. সোলায়মান, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম জসীম উদ্দীন, কর্ণফুলী নদী সম্পদ মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পিয়ার আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাফর আহমদসহ অনেকে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মির্জা মুহাম্মদ ইসমাইল।
বক্তারা বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিরপরাধ ব্যক্তিদের মামলায় জড়ানো হয়েছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। বিএনপি নেতারা এই অপহরণের ঘটনায় কোনোভাবেই জড়িত নন। অপহরণের নাটক সাজিয়ে প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতে চাইছে। ভিকটিম নিজেই বলেছেন, তাকে মহানগরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী পরিচয়ে অপহরণ করা হয়েছে। সুতরাং প্রশাসনকে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে হবে।
নেতারা আরও বলেন, ‘অপহরণের শিকার ব্যক্তি যদি নিজেই রিকশা থেকে নেমে হেঁটে থানায় যেতে পারেন, তাহলে সেটি কীভাবে অপহরণ হতে পারে? এটি সম্পূর্ণ সাজানো ঘটনা।’
গত ৫ মার্চ রাত ১১টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর স্কুলের সামনে থেকে শহিদুল আলম জুয়েলকে অপহরণ করা হয় বলে দাবি। পরে ৫ ঘণ্টা পর অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দেয় বলে দাবিও করেন ভিকটিম।
পরবর্তীতে, ৭ মার্চ জুয়েল কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বিএনপি, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১৩-১৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
বক্তারা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং সতর্ক করে বলেন, ‘যদি নিরপরাধ বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধ না করা হয়, তাহলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button