খেলা

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে ‘বৈশাখী ট্রায়াথলন’ অনুষ্ঠিত

 

 ২০২৫ (বাসস) : প্রথমবারের মতো কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বৈশাখী ট্রায়াথলন’। শনিবার সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন দেশি-বিদেশি ২০০ প্রতিযোগী।

প্রতিযোগিতায় প্রফেশনাল ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাত। আর অ্যামেচার ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মো. মহিউদ্দিন।

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের রেজুখালে ৭৫০ মিটার দূরত্ব সাঁতার প্রতিযোগিতা দিয়ে শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। এরপর সাইকেল নিয়ে ছুটতে থাকে সাইকেলিস্টরা। একদিকে পাহাড়, অন্যদিকে সমুদ্র, তার মাঝে দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভের ২০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রমের লক্ষ্যস্থিও ছিল ২০০ প্রতিযোগির। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয় ৫ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতা।

সাঁতার, সাইক্লিং ও দৌড় ৩টি প্রতিযোগিতা মোট ১ ঘণ্টা ২৫ সেকেন্ডে শেষ করে চ্যাম্পিয়ন হন মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আরাফাত। তিনি জানান, এ রকম প্রতিযোগিতা বাড়ানো হলে খেলোয়াড়রা উৎসাহিত হবে। এ ক্ষেত্রে বিদেশি খেলোয়াড়রা আরও বেশি করে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে এবং খেলোয়াড় তৈরি হবে।

প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সেনাবাহিনীর ১০ পতাধিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম।

তিনি বলেন, বৈশাখী ট্রায়াথলন-২০২৫ পর্যটন শহর হিসেবে কক্সবাজারের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সর্বসাধারণের মনোদৈহিক সুস্থতা বজায় রাখতে যথেষ্ট উৎসাহ ও সচেতনতা সৃষ্টি করেছে। এই ট্রায়াথলন স্থানীয় জনগণ এবং পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

বৈশাখী ট্রায়াথলন-২০২৫ প্রতিযোগিতায় ২টি ক্যাটাগরিতে ২ জন নারী এবং ১৯৬ জন পুরুষ অংশগ্রহণ করেছেন। প্রফেশনাল ক্যাটাগরি গ্রুপে নারীদের মধ্যে বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন ফেরদৌসী আক্তার মারিয়া। এছাড়াও প্রতিটি শ্রেণির প্রথম ১০ জন অংশগ্রহণকারী স্মারক ক্রেস্ট এবং ট্রায়াথলন সম্পন্নকারী প্রত্যেকে একটি আকর্ষণীয় মেডেল ও একটি ই-সার্টিফিকেট পেয়েছেন।

প্রতিযোগীতায় অংশ নেওয়া মোহাম্মদ রফিক বলেন, মেরিন ড্রাইভে ট্রায়াথলন অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। কারণ এখন কক্সবাজারের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রীর ওপরে। এই ট্রায়াথলনের দূরত্ব আরও বেশি হলে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ত।

কামরুল হাসান বলেন, কক্সবাজারে যে তাপমাত্রায় ট্রায়াথলন হচ্ছে তা অনেক চ্যালেঞ্জিং। কারণ সাঁতার শেষ করে ২০ কিলোমিটার সাইক্লিং, এরপর ৫ কিলোমিটার দৌড়ানো অনেক চ্যালেঞ্জ। তারপরও শেষ করেছি, অনেক ভাল লাগছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button