অর্থ ও বাণিজ্যবিশেষ খবর

ই-জিপি’র ১০০ শতাংশ কাভারেজ নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

 

১৪ মে, ২০২৫ (বাসস): দেশব্যাপী সরকারি ক্রয়ে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমের ১০০ শতাংশ কাভারেজ নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বিপিপিএ সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ)পরিচালনা পর্ষদের দ্বিতীয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন ।

বিপিপিএ’র সম্মেলন কক্ষে সভায় বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)-এর সচিব এবং পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনা উপদেষ্টার নেতৃত্বে ১০ সদস্যবিশিষ্ট পর্ষদের অন্যান্য মনোনীত সদস্যরাও সভায় অংশ নেন।

পর্ষদের সদস্য-সচিব এবং বিপিপিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মির্জা আশফাকুর রহমান বলেন, মূল্যমানের দিক থেকে বর্তমানে দেশের মোট সরকারি ক্রয়ের ৬৫ শতাংশ ই-জিপি পদ্ধতির মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে।

সরকারের লক্ষ্য পুনর্ব্যক্ত করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ই-জিপির আওতা ১০০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে বিপিপিএ’র সিইওকে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম ও সম্পদ পরিকল্পিতভাবে পরিচালনার নির্দেশনা দেন।

সরকারি ক্রয়ে ডিজিটাল ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বিপিপিএ-যা পূর্বে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডির অধীনে সিপিটিইউ নামে পরিচিত ছিল, ২০১১ সালে ই-জিপি চালু করে। বর্তমানে ক্রয় পরিকল্পনা, প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে চুক্তি ব্যবস্থাপনা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি ই-জিপির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যা একটি পূর্ণাঙ্গ অনলাইন সিস্টেম হিসেবে স্বীকৃত।

প্রতি বছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) এর প্রায় ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ এবং জাতীয় বাজেটের প্রায় ৪০ শতাংশ অর্থ পণ্য, কার্য ও সেবা ক্রয়ে ব্যয় হয়। যার পরিমাণ বছরে প্রায় ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বিপিপিএ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এবং এর পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর। পর্ষদের দ্বিতীয় সভায় ঢাকায় বিপিপিএ’র নিজস্ব কার্যালয় প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা পর্ষদের বাজেট কমিটি গঠন, সাংগঠনিক কাঠামো (অর্গানোগ্রাম), ২০০৮ সালের সরকারি ক্রয় বিধিমালা (পিপিআর) সংশোধন এবং অন্যান্য বিষয়ে কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

২০২৫ সালের ১৪ মে পর্যন্ত ই-জিপি সিস্টেমে নিবন্ধিত দরদাতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৮১৪ জন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button