শীর্ষ নিউজসংগঠন সংবাদ

আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে দুদকের অভিযান

 

মে, ২০২৫ (বাসস) : মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও এর অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রায় ১৭ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সংস্থার প্রধান কার্যালয় থেকে আজ এই এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানকালে টিম মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অডিট আপত্তি এবং আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্রডশিট জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে-এরূপ রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্রের প্রাথমিক পর্যালোচনায় অভিযোগসমূহের সত্যতা রয়েছে বলে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়।

এদিকে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স -এ সেবা প্রদানে হয়রানি, নিম্নমানের খাবার সরবরাহ ও নানাবিধ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানকালে টিম রোগীদের জন্য প্রস্তুতকৃত খাবার যাচাই ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন ওয়ার্ড সরেজমিনে পরিদর্শন করে। আউটডোরে সেবা নিতে আসা রোগী/সেবাপ্রার্থীদের সাথে টিম কথা বলে এবং তারা কোনোরূপ হয়রানির স্বীকার হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করে।

অভিযানকালে দেখা যায়, রোগীদের সরবরাহকৃত রান্না করা মাংসের ওজন নির্ধারিত ওজনের তুলনায় কম দেওয়া হচ্ছে, যা তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের নজরে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। ওষুধ বিতরণের ক্ষেত্রে রেজিস্টার মেইনটেইন করা হচ্ছে না মর্মে অভিযানকারী টিম দেখতে পায়।

এছাড়া টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গ্রাহকের ডিজিটাল মিটারে অতিরিক্ত ইউনিট দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে টিম কর্তৃক অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। এরপর টিম সরেজমিনে ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের জিগাতলা গ্রামে পরিদর্শন করে বিদ্যুৎ গ্রাহকের মিটারসমূহের রিডিং যাচাই বাছাই করে। ওই গ্রামের ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাহকের মধ্যে অভিযোগে উল্লিখিত ৪৫ জন গ্রাহকের মিটার সরেজমিনে সেবাপ্রত্যাশী স্থানীয় বাসিন্দা ও বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে পরিদর্শন এবং দাখিলকৃত বিদ্যুৎ বিলের কপি পর্যালোচনা করা হয়। পরিদর্শন ও দাখিলকৃত বিদ্যুৎ বিলের কপি পর্যালোচনায় গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিলে গড়ে ১০০০ থেকে ৮০০০ ইউনিট ওভার রিডিং (অতিরিক্ত রিডিং) দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণপূর্বক কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানানো হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button