শাহজালাল বিমানবন্দরে হবে ল্যান্ডমার্ক আন্ডারপাস
বিমানবন্দরের ৩টি টার্মিনাল, বিআরটি (বাস র্যাপিড ট্রানজিট) ও মেট্রোরেল স্টেশন এবং আশকোনা হাজী ক্যাম্পকে সংযুক্ত করে নির্মিত হতে যাচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস প্রকল্প। এক কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের এ টানেলটি হবে একটি ল্যান্ডমার্ক প্রকল্প।
বুধবার গণভবনে ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস প্রকল্প’ বিষয়ক একটি উপস্থাপনা দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পের ডিজাইন এবং সার্বিক বিষয়গুলোতে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রকল্পের উপস্থাপনা দেখে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, খুব সুন্দর হয়েছে। যা যা চাচ্ছিলাম তার সব কিছু এখানে আছে। এটা খুবই সুন্দর হয়েছে, এটা হলে একটা ল্যান্ডমার্ক জিনিস ঘটবে। ওই এলাকায় যানজট ও দুর্ঘটনাও কমে আসবে। মানুষ রেলে এসে নেমেই বিমানে উঠতে পারবে, পরিবেশও ভালো হবে।
তিনি আরও বলেন, মানুষ যাতে সহজে এবং সুন্দরভাবে সেবা পায় সেটি মাথায় রেখে সব থেকে ইউনিক, সুন্দর এবং টেকসই হতে হবে এই প্রকল্পটি।
প্রায় ১১৮৩ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এই আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগ্রেড।
আন্ডারপাসটি চলন্ত সিড়ি, লিফটের পাশাপাশি থাকবে বিমানবন্দরের মতো বাগি কার (Buggy)।
আন্ডারপাসটিতে এসি পাশাপাশি প্রাকৃতিক আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে। কোনো কারণে বিদ্যুৎ বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে প্রাকৃতিক অক্সিজেন প্রবাহের জন্য ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থাও থাকবে।
এখানে ৮টি বের হওয়ার এবং প্রবেশ পথ থাকবে। একই সঙ্গে এখানে থাকবে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাও। প্রায় দেড় লাখ লিটার পানি রিজার্ভ রাখা হবে। আন্ডারপাস টানেলে ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।