মালিক উজ জামান, যশোর:
‘স্মরণে তাহার পায়ে লুটায় আমি সন্তান, মহান ওহে মা আমার বাংলা ভাষা
সহস্র শত বছর পরেও আমি তাহার যেন চির শিশু সন্তান খাসা আমার বায়না’
বাংলা চেতনায় এদেশে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম। এরই ফলশ্রুতিতে এসেছে স্বাধীনতা। সেই মহান ভাষা জাতীয় জীবনে বরাবরই বিশেষ গুরুত্ব বহন করে এসেছে। বাঙালি জাতির অন্যতম প্রধান সৃষ্টি মহান একুশ। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার্থে বাঙালির জীবনোৎসর্গের ঘটনা গড়েছে এক অনন্য ইতিহাস। বাঙালি জাতিকে স্বতন্ত্র মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অমর একুশের রয়েছে সীমাহীন অবদান। আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিতে একুশ প্রভাব ফেলেছে। একুশ আমাদের মাঝে মুক্তির চেতনা তৈরি করেছে। জাতীয় জীবনে তা অক্ষয়, অম্লান। আর তাইতো ৭১ বছরে এসেও সেই ৫২ এর একুশে ফেব্রুয়ারির মতোই আজও তাজা সে স্মৃতি। শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি। একুশ আজ শুধু দেশ নয়, দেশ কালের গন্ডি পেরিয়ে এর মহিমায় মহিমান্বিত গোটা বিশ্ব। একুশ একটি চেতনা, একটি বৈশ্বিক প্রতীক ও একটি মহান বিপ্লব।
যথাযোগ্য মর্যাদায় যশোরে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে প্রশাসন, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ শহীদ বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাত ১২ টা ১ মিনিটে জেলা প্রশাসন যশোরের পক্ষে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানান যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম পিকুল, যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ, সংগঠনের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদার, সদর উপজেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, জেলা দায়রা জজ, সিভিল সার্জন অফিস, যশোর মেডিকেল কলেজ, যশোর জেনারেল হাসপাতাল, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর, জেলা কৃষি অফিস, গণপূর্ত অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, জেলা পাসপোর্ট অফিস, এলজিইডি অফিস, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা শিক্ষা অফিস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস, যশোর ইনস্টিটিউট, বিএমএ যশোর, যশোর মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতি, ইন্টার্নি চিকিৎসক পরিষদ যশোর, নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, আদদ্বীন নার্সিং ইনস্টিটিউট, সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্টেটিভ এসোসিয়েশন যশোর, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন, জেলা উপ আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, জেলা সরকারি কর্মচারি সমন্বয় পরিষদ, দৈনিক গ্রামের কাগজ, বিজয় ৭১, ডিস্ট্রিক্ট একাউন্টস্ এন্ড ফিনান্স, যশোর টেকনিক্যাল, জয়তী সোসাইটির ৫৪টি মহিলা উন্নয়ন সংগঠন ও ব্যবসায়ী সংগঠন, জনউদ্যোগ, এডাব, পোফ, আইডিইবি যশোর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সকল সংগঠন, জেলা শিল্পকলা একাডেমীসহ জেলাস্থ বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, চারুপীঠ আর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট, চারুতীর্থ।
মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে ফুলেল শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন করেছেন, যশোর জেলা পরিষদ, যশোর পৌরসভা, সদর উপজেলা পরিষদ, আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা কমান্ড, যশোর প্রেসক্লাব, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর, যশোর সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পন করা হয়।
আরো শ্রদ্ধা জানিয়েছে যশোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুব মহিলা লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, যশোর জেলা জাসদ, যশোর জেলা জাগপা, যশোর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, গণঅধিকার পরিষদ যশোর, যুব অধিকার পরিষদ, সরকারি এমএম কলেজ, যশোর জিলা স্কুল, যশোর মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরি স্কুল, জেসিএফ টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইছালী মডেল কলেজ, যশোর আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসা, জেনেসিস হসপিটাল, সিটি প্লাজা শপিং কমপ্লেক্স, উলাসী সৃজনী সংঘ, অর্পণ মানব কল্যাণ সংস্থা, বঞ্চিতা যশোর, শক্তি যশোর, ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি, জেলা মহিলা পরিষদ যশোর, প্রথম আলো বন্ধুসভা, বিদ্রোহি সাহিত্য পরিষদ, মাইকেল মধুসূদন ডিবেট ফেডারেশন, যশোর জিলা স্কুল প্রাক্তন ছাত্র সমিতি, আইডিয়া পিঠা পার্ক, ফ্রেন্ডস ৮৭ যশোর, এসএসসি ৮৭ ব্যাচ, ৮৮ ব্যাচ যশোর, থিয়েটার ক্যানভাস, স্বপ্ন দেখো, স্বপ্ন তরী, মনপুরা বুটিক, বাঘারপাড়া নাগরিক কল্যাণ সমিতিসহ শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।