সরকারে কাজ করতে গিয়ে কোনো মন্ত্রী ভুল করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কে নেবেন? সবাই বলবেন, প্রধানমন্ত্রী। বাস্তবে এই দেশে একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকে ফোন করেছিলেন একজন মন্ত্রী ও উপদেষ্টা। তারা কী করে এ কাজটি করলেন তা এখনো অনেকের মতো আমার কাছে এক অপার বিস্ময়। ঠিকই বলছি পদ্মা সেতুর দুর্নীতির কথিত অভিযোগের সময় দুদকে ফোন করেছিলেন সরকারের একজন মন্ত্রী ও উপদেষ্টা। তারা কঠোর ভাষায় বলেছিলেন, যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে আটক করুন। ছাড় দেবেন না অন্যদেরও। এ ঘটনা আওয়ামী লীগের প্রথম মেয়াদের। সারা দেশ উত্তাল পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের নেতিবাচক মন্তব্য ও অবস্থান নিয়ে। আলোচনা-সমালোচনার কঠোর মাত্রায় সরকারের মন্ত্রী আর উপদেষ্টা অবস্থান নিলেন বিশ্বব্যাংকের পক্ষে। এই এখতিয়ার তাদের কে দিল এত দিনেও জানি না। তবে সেই মন্ত্রী এখন আর নেই। তিনি চলে গেছেন জীবনের মায়া ত্যাগ করে দুনিয়া ছেড়ে। তবে সেই উপদেষ্টা এখনো সরকারে আছেন। মাঝে অনেক দিন দেশে ছিলেন না। হিজরত করতে গিয়েছিলেন পরবাসে। শুনেছিলাম আর ফিরবেন না। কিছুদিন আগে দেখলাম তিনি ফিরেছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। বক্তৃতা দিচ্ছেন। বসছেন উপদেষ্টার চেয়ারেই। প্রধানমন্ত্রী আসলে নীলকণ্ঠি। তিনি পারেন সবকিছু হজম করতে।
ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারির পর দলের ভিতরেও অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলো। ইন্দিরা বললেন, ব্যবস্থা নিতে গেলে কেউই বাকি থাকেন না। তাই বুঝেশুনে চলতে হবে। জরুরি অবস্থা শুধু বেশিমাত্রার দুর্নীতিবাজ আর মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে। জরুরি অবস্থা ইন্দিরাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। তার নিজের দলেরই অনেকের ভূমিকা ছিল রহস্যময়। আমার এক বন্ধু বলেন, বাংলাদেশে সবই সম্ভব। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তাঁর ক্যাবিনেট সদস্যরাই গেলেন খন্দকার মোশতাকসহ খুনিদের সঙ্গে। রাজনীতির হিসাব-নিকাশগুলো সব সময় জটিলই হয়ে থাকে। বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে পদ্মা সেতু নিয়ে ঝড় বয়ে গিয়েছিল। যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি আখ্যায়িত করেছিল তারা চায়নি পদ্মা সেতু নির্মাণ হোক। এ কারণে শুরুতে ষড়যন্ত্র দানাবেঁধে ওঠে। তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বসলেন সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী, উপদেষ্টা। বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের পক্ষে অবস্থান নিলেন তারা। ফোন করলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তখনকার কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে। তাঁকে নির্দেশ দিলেন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে আটক করতে। শুধু আটক নয়, রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। রিমান্ডে প্রশ্ন করতে কত টাকার দুর্নীতি করেছিলেন। সেই টাকা দেশ-বিদেশের কোথায় কোথায় দিয়েছেন। তখনই পুরো ঘটনাটি শুনেছিলাম। দুদক কমিশনার হিসেবে তিনি মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার কথায় থতমত খেলেন। অপার বিস্ময় নিয়ে তখন পাল্টা প্রশ্ন করলেন, যে প্রকল্প শুরু হয়নি, কোনো অর্থ ছাড় হয়নি বিশ্বব্যাংক থেকে- সেখানে দুর্নীতি কী করে হয়?
জবাবে খুশি হননি তখনকার অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। তারা এক ধরনের হুংকারই দিলেন। বললেন, ব্যবস্থা না নিলে সরকার থাকবে না। বিশ্বব্যাংককে অখুশি করে চলা যাবে না। দুনিয়ার কোথাও তাদের উপেক্ষা করার পরিণতি ভালো হয়নি। সবকিছু উপেক্ষা করলেন মো. শাহাবুদ্দিন চুপ্পু। স্পষ্ট করে আবারও জানিয়ে দিয়েছিলেন, আমি বিচার বিভাগে ছিলাম। দীর্ঘদিন বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছি। আইনজীবী হিসেবে কানুন বুঝি। আদালতে প্র্যাকটিস করেছি। অভিযোগ কারও বিরুদ্ধে আসতেই পারে। তার সঙ্গে দরকার প্রমাণের। বিশ্বব্যাংক কোনো টাকাই বাংলাদেশকে দেয়নি। টাকা না পেলে দুর্নীতি কীভাবে হবে? এ অভিযোগের সঙ্গে রাজনীতি আছে। দেশ-বিদেশে প্রতিক্রিয়া দেখে অনেক কিছুই মনে হচ্ছে। সবকিছু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র কি না তাও দেখা দরকার। সেই দেখাটার দায়িত্ব আপনাদের। আমার নয়। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট দরকার। চূড়ান্ত বিচার করবেন আদালত। আর প্রমাণ ছাড়া আদালত কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন না। আমরাও কাউকে এভাবে আটক করতে পারি না। আপনাদের কাছে প্রমাণ থাকলে পাঠান। তারপর আটক বা রিমান্ডের প্রশ্ন। জবাবে সেই উপদেষ্টা বললেন, বাস্তবতা বোঝার চেষ্টা করুন। দুদক কমিশনার বললেন, বাস্তবতা বুঝেছি। বাজারি গুজব আর আইনের গাইডলাইন এক নয়। আইনের হাত-পা বাঁধা প্রমাণের কাছে। এখানে আমার করার কিছু নেই। তখনকার যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন চাকরি হারিয়েছিলেন। সচিবকে কিছুদিনের জন্য কারাবরণ করতে হয়েছিল। পদ্মা সেতুর কথিত দুর্নীতির অভিযোগ আরও অনেক সরকারি কর্মকর্তাকে জটিল অবস্থায় ফেলেছিল। বিপাকে পড়তে হয়েছিল তাদের পরিবার-পরিজনকে। আজ পদ্মা সেতুকে সবাই বাংলাদেশের গৌরব বলছেন। একবারও ফিরে দেখছেন না কঠিন বাস্তবতা।
বিশ্বব্যাংকের একজন কর্মকর্তার বক্তব্যকে ঘিরেই আলোচনার সূত্রপাত। বাংলাদেশি মিডিয়ার পাশাপাশি বিদেশি সংবাদপত্রও অনেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। যুক্তিতর্কের প্রয়োজন ছিল না। সবাই বললেন, পদ্মা সেতুতে বিশাল দুর্নীতি হয়েছে। কার টাকা, কোথায় টাকা, তার খবর নেই। অভিযোগকারীদের তালিকায় বিশ্বব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তাও ছিলেন। তারাও বাংলাদেশে এসে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করলেন। কঠিন ভাষায় বললেন, যোগাযোগমন্ত্রী সচিবসহ সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো ছাড় দেওয়া চলবে না। তাদের জেলে নিতে হবে। না করলে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ। আগামী দিনে কোনো লেনদেন হবে না। সাদা চামড়ার সাহেবদের কথা শুনে আমাদের ব্রাউন মন্ত্রী-এমপিরা ঘাবড়ে গেলেন। সবাই তাদের সঙ্গে সুর মেলালেন। বিরোধী দল করল সংবাদ সম্মেলন। বিশেষজ্ঞ মতামত কঠোর ব্যবস্থার পক্ষে। কান চিলে নিয়ে গেছে মনে করে সবাই ছুটলেন চিলের পেছনে। কেউ হাত দিয়ে একবারও দেখার প্রয়োজন মনে করলেন না কান আছে কি না। সৈয়দ আবুল হোসেনের পাশাপাশি সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর হানল। তার নাম দেখে তখনই চমকে উঠেছিলাম। আবুল হাসান চৌধুরীকে ব্যক্তিগতভাবে জানি। অত্যন্ত ভদ্র ও সজ্জন মানুষ। লোভ, লালসা, ক্ষমতা তাকে টানত না। এমপি হতে বিদেশি পাসপোর্ট ছাড়তে হবে বিধায় রাজনীতি থেকে দূরে সরলেন। ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেছিলেন, বাচ্চারা ছোট। পাসপোর্ট ছাড়লে ওদের আগামী দিনে পড়াশোনার সমস্যা হবে। তার চেয়ে নির্বাচন করব না। প্রধানমন্ত্রী বিস্মিত হয়েছিলেন। তবে সায় দিয়েছিলেন। বন্ধুদের একজন পরামর্শ দিয়েছিলেন, বিষয়টি গোপন রাখতে। অনেক রাজনীতিবিদের বিদেশি পাসপোর্ট আছে। তারা সবকিছু গোপন রেখে ভোটে অংশ নেয়। এহছানুল হক মিলনের মতো সবাই পাসপোর্ট ত্যাগ করে ভোট করে না। মিলন তাঁর আমেরিকান পাসপোর্ট ত্যাগ করেছিলেন মহীউদ্দীন আলমগীর এ নিয়ে প্রশ্ন করাতে।
আবুল হাসান চৌধুরী ২০০১ সালে ভোটে অংশ নিলেন না। রাজনীতি ছাড়লেন। তার আসনে পরে ভোট করলেন ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বর্তমান কৃষিমন্ত্রী। অক্সফোর্ড পড়ুয়া আবুল হাসান চৌধুরী ছিলেন বেনজির ভুট্টোর সহপাঠী। ব্যক্তিগত জীবনে টাঙ্গাইলের জমিদার পরিবারের সন্তান। বিনয়ী মানুষটির বাপ-দাদাদের ঐতিহ্য ছিল। দাদা আবদুল হামিদ চৌধুরী ছিলেন স্পিকার। বাবা আবু সাঈদ চৌধুরী বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। আবুল হাসান চৌধুরীকে এমপি থাকাকালীন দেখেছি বাংলামোটরের সেই বিশাল পারিবারিক বাড়ি বিক্রি করে চলতে। রাজনীতি ও সরকারের বাইরে থাকার পরও তার নাম পদ্মা সেতুর দুর্নীতির তালিকায় দেখে মনের ভিতরে সংশয় তৈরি হলো। সরকারের ধারেকাছে নেই, তারপরও কীভাবে এই নাম এলো জানতে চেয়ে ফোন করেছিলাম তাকে। বলেছিলাম বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আপনার সমস্যা কী? এখন তো আপনি কোনো কিছুর সাতেপাঁচে নেই। তারপরও কেন টানাটানি? জবাবে তিনি বলেছিলেন, বিদেশ থেকে তার এক বন্ধু এসেছিলেন পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলতে। তিনি এত বোঝার চেষ্টা না করে ফোন করে তাকে পাঠিয়েছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের কাছে। এইটুকু অপরাধে হয়ে গেল বিশাল কেচ্ছা-কাহিনি।
আমার দাদি বলতেন, ‘ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।’ সরকারকে অনেক কঠিন সংগ্রাম করে ক্ষমতা ধরে রাখতে হয়। এই ধরে রাখার জন্য কাজ করে পূর্ণাঙ্গ একটি টিম। সেই টিমের কোনো সদস্যের সামান্য ভুলের খেসারত দিতে হয় পুরো দেশকে। প্রধানমন্ত্রীর সহকর্মী কারা হবেন তা তাঁর নিজস্ব বিষয়। এ নিয়ে বলার কিছু নেই। টিমের কোনো সদস্য আলাদা হয়ে নিজস্ব অবস্থানের প্রকাশ দেখাতে গেলেই জটিলতা তৈরি হয়। পদ্মা সেতু নিয়ে হয়েছিল তেমনই। সরকারের প্রভাবশালীরা দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা না করেই কাহিনিতে ঘি ঢাললেন। দুদক কমিশনারকে তাদের ফোন করা ও ফোনের ভাষাগত অবস্থান সঠিক ছিল না। কেন তারা এমন করলেন সেই প্রশ্নের জবাব এখনো মেলেনি। সেই সময়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন একজন মো. শাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনি মন্ত্রী ও উপদেষ্টার নির্দেশ উপেক্ষা করেছিলেন। তিনি নির্দেশ শুনলে কী হতো? আজকের অবস্থানে মূল্যায়ন করা যাবে না। বোঝা যাবে না বাংলাদেশের তখনকার প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা। তবে এ নিয়ে এখনো অনেক প্রশ্ন থেকে যায়। বিস্মিত হচ্ছি নির্দেশদাতা সেই উপদেষ্টা ও মন্ত্রী কী করে এরপরও থাকলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে? বঙ্গবন্ধু সবাইকে বিশ্বাস করতেন। সবাইকে আপন মনে করতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীলকণ্ঠি হয়ে সবাইকে নিয়ে চলতে পারেন। পাশে থাকা মানুষ সর্বনাশ করছে জেনেও ফলাফল দেখার অপেক্ষায় থাকেন। এতটা উদারতার কি প্রয়োজন আছে?
৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ সালে বাংলাদেশ প্রতিদিনে পদ্মা সেতুর কঠিন বাস্তবতা নিয়ে একটা লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। লেখক ছিলেন মো. শাহাবুদ্দিন চুপ্পুু। তিনি আজকের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। লেখাটি পাঠিয়ে তিনি বলেছিলেন, এটা প্রকাশ করুন। কোনো একদিন ইতিহাস হবে। পদ্মা সেতু নিয়ে সত্যিকারের ঘটনা দেশবাসীকে জানিয়ে রাখতে চাই। এখানে কোথাও দুর্নীতি হয়নি। সেই সময়ে জেনেছিলাম একজন মন্ত্রী ও উপদেষ্টার কাহিনিগুলো। রাজনীতিতে সহযোদ্ধা হতে বিশ্বাস ও আস্থার প্রয়োজন হয়। একজন মন্ত্রী বা উপদেষ্টা শপথ নিয়ে চেয়ারে বসেন। সেই শপথ রাষ্ট্রের কাছে। সেই শপথ সরকারের কাছে। আর নিজস^ অঙ্গীকার যে আদর্শের হয়ে শপথ নিলেন সেই ব্যক্তিত্বের কাছে। ক্ষমতায় থেকে শপথ ভঙ্গ করা কারও উচিত নয়। আর ভঙ্গ করলে সঙ্গে থাকা উচিত নয়।
আওয়ামী লীগ সরকার ১৪ বছর পার করছে। এই ১৪ বছরে অনেকেই দল ও সরকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্ষমতা উপভোগ করেছেন। মসনদে বসার আগে অনেকের উচ্ছ্বাস দেখেছি। ক্ষমতা হারানোর পর আওয়ামী লীগের সমালোচনা শুনেছি। চেয়ারে বসার আগে কান্না শুনেছি। অহমিকা-দাম্ভিকতা অনেকের এখনো আছে। অনেকে বছরের পর বছর নির্বাচনী এলাকাতে যান না। মানুষের কাছ থেকে নিজেদের গুটিয়ে রাখেন। জনবিচ্ছিন্নতার পরও দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন। বিরোধী দল ভোটে যায় না বলে বিজয়ী হন। ভোট ও রাজনীতির হিসাব-নিকাশ সব সময় এক রকম হয় না। কোনো কারণে ভোটাধিকারের যুগের সূচনা হলে এলাকায় জনবিচ্ছিন্নদের অস্তিত্ব থাকবে না। মনোনয়ন নিয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। আগামী দিনে নির্বাচনকালীন অথবা তার পরের সরকার গঠনেও বাস্তবতায় থাকতে হবে। এমন কাউকে রাখা ঠিক হবে না যারা নিজেরাই সর্বনাশা সিদ্ধান্ত দিয়ে বসেন। নীরবে ক্ষতি করেন দল ও সরকারের। হাত মেলান দেশ-বিদেশের সুশীল আর বাংলাদেশবিরোধী মানুষদের সঙ্গে। জাতির পিতার আদর্শকে ক্ষতিগ্রস্ত করেন। ন্যূনতম অঙ্গীকারে থাকেন না প্রধানমন্ত্রীর নীতি ও আদর্শের দর্শনে। আগামী দিনের সরকার চালাতে এই মানুষের প্রয়োজন নেই। শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করতে দরকার তাঁর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক দর্শনকে শতভাগ মেনে চলা। যারা এ কাজটি সঠিকভাবে করবেন না তাদের কেন রাখতে হবে?
লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন