আসন্ন আইপিএলে তিন নিয়মে বদল
আগামী ৩১ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ-আইপিএল। আসন্ন আইপিএলে অনেক কিছুই যুক্ত হচ্ছে। এবার থেকেই আইপিএলে শুরু হচ্ছে হোম-অ্যাওয়ে ফরম্যাটে প্রতিযোগিতা। এছাড়া তিনটি নিয়মেও বদল এসেছে।
সাধারণত টসের সময় একাদশ জানিয়ে দেন দুই দলের দুই অধিনায়ক। আন্তর্জাতিক, ঘরোয়া কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট বরাবরই এমনটাই হয়ে আসছে। তবে এবারের আইপিএলে তেমন নিয়মের বালাই থাকছে না। টসের সময় দু’টি আলাদা আলাদা একাদশের তালিকা নিয়ে নামতে পারবেন অধিনায়করা। টসের পর তিনি নিজের পছন্দের প্রথম একাদশ জানাতে পারবেন। অর্থাৎ, প্রথমে বোলিং বা ব্যাটিংয়ের ওপর নির্ভর করে প্রথম একাদশে বদলের সুযোগ থাকছে।
আইপিএলের এক কর্মকর্তা যেমনটা বলছিলেন, এর আগে টসের আগেই প্রথম একাদশের তালিকা একে অপরকে দিতেন দুই অধিনায়ক। এবার থেকে টসের পর সেই তালিকা একে অপরকে দেবেন তারা। এর ফলে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ বাছতে সুবিধা হবে অধিনায়কদের। প্রথম ইনিংসে প্রথম একাদশে না থাকা একজন ক্রিকেটারকে পরের ইনিংসে দলে নেওয়া যাবে। তিনিই হচ্ছেন ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার।’
এর আগে এমন পরিবর্তন এনেছিল সাউথ আফ্রিকার এসএ-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। যেখানে শুরুতে ১৩ জন ক্রিকেটারের তালিকা জমা দিয়ে পরবর্তীতে তা ১১ জনে নামিয়ে আনা যেতো। বাকি দু’জন অতিরিক্ত ফিল্ডার হিসেবে থাকতেন। আইপিএলে অবশ্য এমন বাধ্যবাধকতা নেই।
এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পারলে আগে জরিমানা করা হতো অধিনায়ককে। কিন্তু এবার থেকে সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পারলে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে পাঁচ জনের জায়গায় চার জন ফিল্ডার রাখতে হবে অধিনায়ককে। ফলে বাড়তি সুবিধা পাবে ব্যাটিং দল।
আর তৃতীয় বদলটি হচ্ছে, ফিল্ডিং করার সময় নিয়ম-বহির্ভূতভাবে নড়াচড়া করলে তারও শাস্তি পেতে হবে ফিল্ডিং করা দলকে। যদি বল করার সময় উইকেটরক্ষক নিয়ম-বহির্ভূতভাবে নড়াচড়া করেন তাহলে ব্যাট করা দলকে পেনাল্টি হিসেবে ৫ রান দেওয়া হবে। সেই বলটিও ডেড বল হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ, কোনো বল না খেলেই ৫ রান যোগ হবে ব্যাটিং দলের স্কোরবোর্ডে। কোনো ফিল্ডার সেই কাজ করলেও একই শাস্তি পেতে হবে।